হিজাববিরোধী বিক্ষোভ দমনে ইরানের রাস্তায় হিজাবি কমান্ডো

পুলিশি হেফাজতে থাকাবস্থায় ২২ বছরের তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানজুড়ে চলছে তীব্র বিক্ষোভ। এবার সেই বিক্ষোভ দমনে হিজাবি কমান্ডোদের পথে নামিয়েছে দেশটির সরকার। খবর দ্য সান।

হিজাববিরোধী বিক্ষোভ দমনে মাঠে নেমেছে নারী কমান্ডোরা

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, হিজাববিহীন থাকার অপরাধে মাহশাকে তুলে নিয়ে যায় ইরানের পুলিশ। সেখানে দুদিন ধরে নির্মম অত্যাচারের শিকার হয়ে মারা যায় মাহশা। ইরানের পুলিশ দাবি করছে, পুলিশি হেফাজতে থাকাকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কোমায় চলে যান মাহশা। ওইভাবেই তার মৃত্যু হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ।

তারা মাহশার মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। ইরানের অন্তত ৮০টি শহরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি পুড়িয়েছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাথরও ছোড়া হয়েছে। এসব বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৫৭ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ‘ইরান হিউম্যান রাইটস’ নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা। তবে ইরানের পুলিশ জানাচ্ছে, সংখ্যাটা আসলে ২৮।

ইরানের নারী কমান্ডো

এতে বিক্ষোভ কমেনি বরং আরও গতি পেয়েছে। এ অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের দমনে সাধারণ পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয়েছে প্রায় সাত হাজার হিজাবধারী সশস্ত্র নারী কমান্ডো। হিজাবে গোটা শরীর ঢাকা এসব কমান্ডোর সাদা গ্লাভস পরা হাতে থাকছে অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য সান’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করে জেলে ভরতে রাস্তায় নেমেছেন ওই কমান্ডোরা। তবে ওই বিশেষ কমান্ডো ইউনিটের প্রধান কর্নেল হায়দারি দাবি করছেন, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তারা রাস্তায় নেমেছেন। যারা ইসলামি মূল্যবোধবিরোধী কার্যকলাপ করছেন, তাদের মোকাবেলা করাই এই ইউনিটের কাজ।