২ বন্দীর বিনিময়ে ৭ মার্কিনীকে মুক্তি!

মাদক চোরাচালানের অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক বছর ধরে বন্দী থাকা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর স্ত্রীর দুই ভাগ্নেকে মুক্তি দিয়েছে জো বাইডেনের প্রশাসন। বিনিময়ে সাত মার্কিনীকে মুক্তি দিয়েছে ভেনেজুয়েলা। শনিবার (১ অক্টোবর) দুই দেশের মধ্যে এই বন্দী বিনিময় হয়। খবর আল জাজিরা।

মার্কিন বন্দীদের কয়েকজন

বিভিন্ন গণমাধ্যমে বন্দী প্রত্যর্পণের এ ঘটনাকে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকালের বৃহৎ বন্দী বিনিময় হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। মুক্তি পাওয়া ৭ মার্কিনীর মধ্যে পাঁচজন জ্বালানি কর্মকর্তা। তারা দীর্ঘ দীর্ঘ পাঁচ বছর ভেনেজুয়েলায় বন্দী ছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ সব ব্যক্তি শিগগিরই তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হবেন। এসব ব্যক্তি ভুল কারণে ভেনেজুয়েলায় বন্দী ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন বাইডেন।

ভেনিজুয়েলার দুই বন্দী

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, সমাজতান্ত্রিক নেতা মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে চাচ্ছেন। এরই নিদর্শনস্বরূপ দুই দেশের মধ্যে কয়েক মাসের আলোচনা শেষে এ বন্দী বিনিময়ের ঘটনা ঘটল। তাছাড়া রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভেনিজুয়েলার সাথে সম্পর্ক নবায়ন করতে আগ্রহী হয় যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে এই সম্পর্কোন্নয়ন।

মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিনীদের মধ্যে রয়েছে হিউস্টনভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি চিটগোর পাঁচজন কর্মচারী, টোমেউ ভাদেল, জোসে লুইস জামব্রানো, আলিরিও জামব্রানো, জর্জ টলেডো ও জোসে পেরেইরা। ২০১৭ সালে জ্বালানি বিষয়ক একটি বৈঠকে যোগ দিতে তাদের ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা সেখানে পৌঁছলে মুখোশধারী সশস্ত্র ব্যক্তিরা তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়।

মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় আরও আছেন সাবেক ইউএস মেরিন কর্পোরাল ম্যাথিউ হিথ। তাকে ২০২০ সালে ভেনেজুয়েলার একটি রোডব্লক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এছাড়া রয়েছেন গত জানুয়ারিতে গ্রেপ্তার করা ওসমান খান।

এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র ভেনিজুয়েলার ফার্স্ট লেডি সিলিয়া ফ্লোরেসের ভাগ্নে ফ্রাঙ্কি ফ্লোরেস ও তার চাচাতো ভাই এফ্রেন ক্যাম্পোকে মুক্তি দিয়েছে। ২০১৫ সালে মার্কিন ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক অভিযানে তারা হাইতিতে গ্রেপ্তার হন। এর পরপরই তাদের নিউইয়র্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরের বছর একটি মামলায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

ধারণা করা হয়, ভেনিজুয়েলায় আরও চারজন মার্কিন নাগরিক আটক রয়েছেন।