মার্কিন অ্যাপাচির চেয়েও পরাক্রমী ভারতীয় প্রচণ্ড!

‘প্রচণ্ড’ বাড়িয়ে দিল ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার প্রচণ্ড নাকি মার্কিন অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের চেয়েও বেশি যুদ্ধবাজ, পরাক্রমশালী। আজ সোমবার (৩ অক্টোবর) ভারতের সেনা ও বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এই অ্যাটাক হেলিকপ্টার। খবর এনডিটিভি।

ভারতের প্রথম কমব্যাট হেলিকপ্টার প্রচণ্ড

ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, কমব্যাট কপ্টার প্রচণ্ড যেমন হিমালয়ের উচ্চতায় গিয়েও শত্রুকে ঘায়েল করতে পারবে, তেমনি উড়িয়ে দিতে সক্ষম শত্রুর বাঙ্কারও। পাকিস্তানের ট্যাঙ্ক কিংবা চীনের ড্রোন- সবই ঘায়েল হবে প্রচণ্ডের পরাক্রমী থাবায়। এছাড়া জঙ্গল এলাকায় সেনা অভিযান কিংবা শহরাঞ্চলে গেরিলা মোকাবেলায় দক্ষ প্রচণ্ড।

প্রচণ্ড হেলিকপ্টারে ৭০ মি.মির ১২-১২ রকেটের দুটি প্যাড লাগানো রয়েছে। কপ্টারের ‘নোজ’ বা একেবারে সামনের অংশে রয়েছে ২০ মি.মির বন্দুক, যা ১১০ ডিগ্রির মধ্যে যেকোনো নিশানায় চালিয়ে দেবে অব্যর্থ গুলি। বড় চমক হচ্ছে, এই হেলিকপ্টারে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা আকাশ থেকে আকাশে এবং আকাশ থেকে মাটিতে ছুড়বে আগুনের গোলা।

ইতিমধ্যেই নিজের দেহে সজ্জিত বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে অব্যর্থ নিশানায় আঘাত করায় সাফল্য অর্জন করেছে প্রচণ্ড। হেলিকপ্টারটি এতটাই আধুনিক প্রযুক্তির যে, পাইলট বা চালক ককপিটে বসেই সব অস্ত্র-ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। লাগবে না বাইরের কারো সহায়তা।

মার্কিন অ্যাপাচির চেয়েও আকারে ছোট ও হালকা প্রচন্ড। দুই ইঞ্জিনের ‘লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার’ বা এলসিএইচ প্রচণ্ডের ওজন ৫.৮ টন। তৈরি হয়েছে সরকারি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) কারখানায়।

সোমবার রাজস্থানের যোধপুরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের উপস্থিতিতে হেলিকপ্টারটি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়।

অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিং বলেন, হেলিকপ্টারটির নাম প্রচণ্ড। এটি দুই দশকের নিরন্তর গবেষণার ফল। আজকের দিনটি ভারতের সশস্ত্রবাহিনীর জন্য মাইলফলক।