আজারবাইজান-আর্মেনিয়া বিবাদ মেটাতে এগিয়ে আসলো ইইউ

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সীমান্ত সমস্যার সমধানে এগিয়ে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। দুদেশের মধ্যে সীমানা নির্ধারণে ‘বেসামরিক ইইউ কমিশন’ নামে একটি কমিটি গঠন করেছে তারা। চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগে এক বৈঠকে উদ্যোক্তারা এই ঘোষণা দিয়েছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া: সীমানা নির্ধারণে সহায়তায় ইইউ কমিশন

আজ শুক্রবার সকালে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ইইউ কমিশন দুদেশের সীমান্ত সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। সঠিক তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে দুপক্ষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও আস্থা তৈরি করতে মিশন সহায়তা করতে চায়।

দুই নেতা বলেন, আমরা ইইউর উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছি। আলোচনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইনামুয়েল ম্যাক্রন ও ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল অংশ নেন। প্রাগ ক্যাসলে প্রথম ইউরোপিয়ান কমিউনিটি সামিটের ফাঁকে নেতারা এই বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে আজারবাইজান প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ সাংবাদিকদের বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে এখন আজারবাইজান-আর্মেনিয়া শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরাণ্বিত হবে বলে আমি মনে করি। বৈঠকে শান্তি ফেরানোর ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছতে সক্ষম হব।

আলিয়েভ সাংবাদিকদের জানান, দুদেশের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আমরা (আলিয়েভ-পানিশিয়ান) শুক্রবার ডিনারের পর আবার সাক্ষাৎ করতে একমত হয়েছি। শিগগির দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে মিলিত হবেন।

আলিয়েভ বলেন, আমার পরামর্শ থাকবে, দুদেশের ওয়ার্কিং গ্রুপ সীমান্তে শান্তি ফেরানোর ব্যাপারে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। তারা দেখা-সাক্ষাৎ কিংবা বৈঠক করবে। কয়েকদিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশনা তাদের দেওয়া হয়েছে। এটাই আমাদের ইচ্ছা।

এর আগে ব্রাসেলসে ইইউ কাউন্সিল প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন আলিয়েভ ও পানিশিয়ান। তারা দুজনই সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনতে একমত পোষণ করেন। এরপরই ইইউর পক্ষ থেকে ওই উদ্যোগ নেওয়া হলো। ১৯৯১ সাল থেকে দুদেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বারবার সংঘর্ষ চলে আসছে।