সৌদি ও আমিরাত থেকে মিসাইল সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব

তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে মার্কিন সৈন্য ও মিসাইল সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন আইনপ্রণেতা। এ বিষয়ে তারা কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন।

মার্কিন অনুরোধ উপেক্ষা করে রপ্তানিকারকরা উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষেপেছেন ওয়াশিংটনের নীতিনির্ধারকরা

ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য টম মালিনোস্কি, শন ক্যাস্টেন ও সুসান ওয়াইল্ড উপস্থাপিত এ প্রস্তাবে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি মার্কিন সামরিক সমর্থন হ্রাসের কথা বলা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের তেল-সমৃদ্ধ দুটি দেশ থেকে মার্কিন সৈন্য ও মিসাইল বহর সরিয়ে নেওয়ারও প্রস্তাব করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর ফোরাম ওপেক প্লাস বাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধির স্বার্থে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে রাশিয়া ও সৌদি আরবের তরফ থেকে আসা একটি প্রস্তাবে সমর্থন দেয় আরব আমিরাত ও অন্যান্য দেশ।

মার্কিন অনুরোধ উপেক্ষা করে উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তেল রপ্তানিকারকদের উপর ক্ষুদ্ধ হয় যুক্তরাষ্ট্র। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ওপেক প্লাস কার্যতঃ রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করে হোয়াইট হাউস। তেলের বাজারে একচেটিয়াত্বের সুযোগ নেওয়ায় ওপেক প্লাসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তা।

মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপিত প্রস্তাবে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এ মর্মে অভিযোগ করে বলা হয়েছে- আমাদের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে যেসব দেশ তাদেরকে আমাদের সৈন্য ও চুক্তিবদ্ধরা কেন সেবা দেওয়া অব্যাহত রাখবে, আমরা তার যুক্তি দেখছি না।

বুধবার ভিয়েনায় ওপেক প্লাসের বৈঠকে যখন তেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত হয়, তার তিন মাস আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সৌদি আরবকে উৎপাদন বৃদ্ধির অনুরোধ জানাতে রিয়াদ সফর করেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় থেকে সৌদি সরকার ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের অঙ্গীকার করেন জো বাইডেন। মূলতঃ তেলের জন্যই তিনি জুন মাসে সৌদি সরকারের কাছে ধরনা দেন।

এ বিষয়ে কংগ্রেসের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে বাইডেন প্রশাসনের প্রয়াস সত্ত্বেও সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের হাত বাড়ানোর জবাবে মুখে চপেটাঘাত করেছে, যার ফলে মার্কিন ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ বিপন্ন হবে।