ইরানের রেভুলেশনারি গার্ডের শীর্ষ নেতাদের কানাডা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ইরানের ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) শীর্ষ নেতাদের কানাডা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এছাড়া নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং ২০২০ সালে বেসামরিক একটি বিমানকে ভূপাতিত করায় দেশটির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে কানাডা সরকার।

জাস্টিন ট্রুডো

শুক্রবার, ৭অক্টোবর একটি সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার ডেপুটি ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এই ঘোষণা দিয়েছেন। এ সময় কানাডায় একটি নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ব্যুরো প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথাও বলা হয়। 

ফ্রিল্যান্ড আইআরজিসিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেন। অবশ্য কানাডা সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেনি। তবে এই বাহিনীকে অভিবাসন ও শরণার্থী সুরক্ষা আইনের অধীনে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে।

সবচেয়ে গুরুতর যুদ্ধাপরাধের জন্য অভিযুক্ত শাসনের বিরুদ্ধে কানাডার সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।

ইরানের পতাকা

এই পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে আইআরজিসির ১০ হাজারের বেশি কর্মকর্তা এবং সিনিয়র সদস্যদের কানাডায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।

এ বিষয়ে ট্রুডো বলেন, 'এটি আমাদের নেওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ।'  

একটি সরকারি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির ঝুঁকি তৈরি করতো।

এদিকে ট্রুডোর প্রশাসন আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত না করায় বিরোধী রক্ষণশীলদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছে। নিউ কনজারভেটিভ নেতা পিয়ের পোইলিভর বলেন, ‘১০০০ দিন আগে আইআরজিসি সন্ত্রাসীরা একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট গুলি করে ৫০ জনেরও বেশি কানাডিয়ানকে হত্যা করেছিল। অথচ ট্রুডোর মতো লিবারেলরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসাবে তালিকাভুক্ত করেনি।' 

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী একটি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করে ইরান। বিমানের নিহত যাত্রীদের অনেকেই ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক ছিলেন।

সূত্র: রয়টার্স