ইসরায়েলের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের আশঙ্কা

ইসরায়েলের আসন্ন নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির অভ্যন্তরীন গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেট। নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার জন্য রাশিয়াকে সতর্কও করে দেয়া হয়েছে। ইসরায়েলের একটি গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ইসরায়েল ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ইসরায়েলি চ্যানেল টুয়েলভ টিভি জানায়, শিনবেট রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাকে পাঠানো এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে রাশিয়াকে আসন্ন নেসেট নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে বলেছে। ১ নভেম্বর ইসরায়েলের সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিন বছরের মধ্যে এটি ইসরায়েলের পঞ্চম নির্বাচন।

চ্যানেল টুয়েলভ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গোয়েন্দারা নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছে। শিনবেট ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সম্ভাব্য রাশিয়ান হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক করেছে যা ভোটারদের এক বা একাধিক উপায়ে প্রভাবিত করবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শিনবেট আঞ্চলিক শত্রু ইরানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার একটি প্রচেষ্টাকেও ব্যর্থ করেছে।  

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ইসরায়েল ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মে মাসে রাশিয়া দাবি করেছিল যে ইসরায়েলি ভাড়াটে সেনারা ইউক্রেনের কট্টর ডানপন্থী আজভ রেজিমেন্টের সাথে লড়াই করছে।

জুলাইয়ের শেষেরদিকে রাশিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় জুয়িশ এজেন্সিকে রাশিয়ান ফেডারেশনে সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। সংস্থাটি ইসরায়েলে ইহুদি অভিবাসনকে উৎসাহিত করা এবং প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বে ছিল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কের এত অবনতি আর কখনোই হয়নি।

এবারের ইসরায়েলের নির্বাচনে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে কট্টর ডানপন্থী এবং ধর্মীয় গ্রুপগুলির জোটের নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।