যে কারণে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেই চলেছে উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়া প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কৌশলগত পারমাণবিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলোকে ‘বিশেষ শক্তি প্রদর্শন’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিলে বড় ধরনের সামরিক মহড়ার বিষয়টি ঘোষণা দেওয়ার পর উত্তর কোরিয়া পাল্টা শক্তি প্রদর্শন করতে ধারাবাহিক মহড়া চালাচ্ছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

উত্তর কোরিয়া প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কৌশলগত পারমাণবিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকালে উত্তর কোরিয়া দুটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় সিউল ও টোকিও জানিয়েছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত দুই সপ্তাহে দেশটির নিউক্লিয়ার ট্যাকটিক্যাল অপারেশন ইউনিটকে ব্যবহার করেছেন। এটি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার একটি শক্তিশালী বার্তা।

পারমাণবিক পরীক্ষাগুলোর লক্ষ্য সেনা কমান্ডকে আরও শক্তিশালী করে প্রধান সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি শত্রুদের হুঁশিয়ারি দিতে চায় উত্তরা কোরিয়া। কিমের বার্তা হলো- উত্তর কোরিয়া যেকোনো স্থান ও সময়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মোক্ষম জবাব দিতে প্রস্তুত।

কিমকে উদ্ধৃত করে কেসিএনএ বলছে, যদিও শত্রুরা আমাদের সাথে সংলাপ কিংবা সমঝোতা করতে আহ্বান জানাচ্ছে, কিন্তু আমরা এসবের প্রয়োজন বোধ করি না। উত্তর কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টি মনে করে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে চায়। এজন্য তারা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ এবং পারমাণবিক সাবমেরিন দিয়ে মহড়া চালিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কার্গেনি এনডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনারল পিস-এর শীর্ষ কর্মকর্তা অংকিত পান্ডা বলেন, উত্তর কোরিয়ার বার্তা খুবই স্পষ্ট। দেশটির পারমাণবিক মহড়াগুলো দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী সংকেত।

গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী যৌথভাবে মহড়া চালায়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বিমানবাহী রণতরী অংশ নেয়। একদিন পর দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানের গর্জন শোনা যায় আকাশে। এসবই মূলত উত্তর কোরিয়াকে সতর্কতা দেওয়ার জন্য। এর আগে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মহড়ায় অংশ নিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া।