ভারী বৃষ্টিপাতে থাইল্যান্ডে বন্যা, ১ হাজার গ্রাম প্লাবিত

থাইল্যান্ডে বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাতে দেশটির মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববারের প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উবন রাতচাথানিতে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ পরিস্থিতি। ২০ হাজার বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে দিয়ে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। রয়েছে ভূমিধসের শঙ্কাও। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ভারী বৃষ্টিপাতে থাইল্যান্ডে বন্যা

দেশটির দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমণ বিভাগ জানিয়েছে, ৮৫টির মতো আশ্রয়কেন্দ্র বন্যাকবলিত মানুষে ভরে গেছে। তাদের নিরাপদ খাবার ও পানি সরবরাহ করছে সরকার। প্রাদেশিক চেম্বার অব কমার্স মনে করছে, বন্যায় অন্তত ১৩৩ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। তবে বন্যাকবলিত বাসিন্দাদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত নিরাপদ পানি ও খাবার সংকটে ভুগছেন তারা। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও জনগণকে সহায়তার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।

দুর্যোগ সংস্থাটি জানিয়েছে, গত শনিবার পর্যন্ত ১০ দিনে ৫৪ প্রদেশের ২ লাখ বাসিন্দা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা থাইল্যান্ডের একটি মৌসুমি সমস্যা। তবে এ বছর বন্যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। এর মূল কারণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ‘নোরু’। এই ঝড়ের প্রভাবে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত শুরু হয় গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে।

তাছাড়া আন্দামান সাগর ও থাইল্যান্ড উপসাগরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মৌসুমি বায়ু বয়ে যাচ্ছে। এটিও বৃষ্টিপাতের বড় কারণ। সম্প্রতি রাজধানী থাইল্যান্ডে সতর্কতা জারি করে বলা হয়, চাও ফ্রায়া নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এতে বন্যার সৃষ্টি হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।

খবরে বলা হচ্ছে, প্রবল বৃষ্টিপাতে থাইল্যান্ডের প্রধান প্রধান বাঁধগুলোর ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়। এতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে বাঁধগুলো খুলে দেয় এবং নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পায়। বেশকিছু নদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দেশটির সরকার সংকট পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।