টাইগ্রের তিন শহর দখলমুক্ত করল ইথিওপিয়া বাহিনী

উত্তর ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে অনেক বছর ধরে আধিপত্য কায়েম করেছে তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ)। এ অঞ্চলের তিনটি শহর দখলমুক্ত করেছে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী ইথিওপিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (ইএনডিএফ)। তবে অভিযানে কোনো বাধা পায়নি ইএনডিএফ। শহর তিনটি হলো- শায়ার, আলামাতা এবং কোরেম। দ্য ডিফেন্স ফোর্সের খবর।

টাইগ্রের তিন শহর দখলমুক্ত করল ইথিওপিয়া বাহিনী

তাইগ্রে অঞ্চল নিয়ে জাতিসংঘের সর্বশেষ সতর্কতা ছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান মতে, গত দুই বছরে টাইগ্রেতে সংঘাতে বহু বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। আনুমানিক দুই মিলিয়ন লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। লাখ লাখ লোক বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধের মারাত্মক সংকটে পড়েছেন তারা। এই এলাকায় যোগযোগ ও বিদ্যুৎসহ মৌলিক পরিষেবার অভাব রয়েছে।

খবরে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুর দিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে আলোচনার টেবিলে আনার ব্যর্থ চেষ্টা করে আন্তর্জাতিক মহল। এর মধ্যে টাইগ্রের দখলীয় তিন শহর উদ্ধারে আশার আলো দেখা যাচ্ছে।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ঘোষণা দিয়েছেন, তাইগ্রের কৌশলগত শহর শায়ারসহ আরও দুটি শহর সরকারি বাহিনী পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একটি বড় বিজয় অর্জিত হয়েছে।

খবরে বলা হচ্ছে, সংঘাত শুরু হওয়ার আগে প্রায় এক লাখ বেসামরিক নাগরিক এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। টাইগ্রের রাজধানী মেকেলের উত্তর-পশ্চিমে ৩০০ কিলোমিটার দূরে শায়ার শহর এবং অপর দুটি শহর কোরেম ও আলমাতা ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।

টাইগ্রায়ানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিপক্ষের আর্টিলারি হামলায় বহু বেসামরিক লোক নিহত ও আহত হয়েছে। কয়েক লাখ লোক পালিয়ে গেছে। তবে এই দাবি যাচাইয়ের কোনো সুযোগ হয়নি। কারণ টাইগ্রে অঞ্চলটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

গত আগস্টের শেষের দিকে সরকারি বাহিনী ও টিপিএলএফের মধ্যে আবার লড়াই শুরু হয়। উভয়পক্ষ পাঁচ মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।