ড্রোন কেনার চেয়ে ঠেকানোর খরচ বেশি!

বিভিন্ন ধরনের কামিকাজে (আত্মঘাতি) কিনতে ও ওড়াতে রাশিয়ার যা খরচ পড়ছে, তার চেয়ে ঢের বেশি পয়সা গুনতে হচ্ছে ইউক্রেনকে ওইসব ড্রোন ঠেকাতে গিয়ে। সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

ড্রোন কিনতে ও ওড়াতে রাশিয়ার যা খরচ, তার চেয়ে বেশি অর্থ ড্রোন ঠেকাতে ইউক্রেনের ব্যয় হয়েছে

ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ গত ৩৪ দিনে ১৬৫টি ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে। এর মধ্যে ১৬১টি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন, একটি শাহেদ-১২৯ ড্রোন এবং চারটি আরও বড় আকারের ড্রোন রয়েছে।

ইউক্রেনের এনজিও মোলফারের সামরিক বিশ্লেষকরা জানান, একেকটি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন ২০ হাজার পাউন্ড থেকে ৫০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত দামে বিক্রি হয়। এ হিসেবে রাশিয়ার মোট খরচের পরিমাণ ১ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (১ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার) থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ পাউন্ড (১ কোটি ৭৯ লাখ ডলার) পর্যন্ত হতে পারে।

এসব ড্রোন ঠেকাতে ইউক্রেন মোতায়েন করেছে নানা ধরনের অস্ত্র ব্যবস্থা। মিগ-২৯ জঙ্গিবিমান ওড়ানো, সি-৩০০ ক্রুজ মিসাইল ছোঁড়া, ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম (এনএএসএএমএস) মোতায়েন করার পাশাপাশি ড্রোন ঠেকাতে ছোট অস্ত্রের গুলিও ছুঁড়েছে ইউক্রেনীয়রা।

ড্রোনের বিরুদ্ধে এমন হরেক রকমের প্রতিরক্ষা প্রয়োগ করতে গিয়ে ইউক্রেনের খরচ হয়েছে আনুমানিক আড়াই কোটি পাউন্ড (২ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার ডলার)। উম্মুক্ত উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রাক্কলন দাঁড় করানো হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে রাশিয়ার ছোঁড়া ড্রোনকে এ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী গতকাল বলেছে, ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত তারা মোট ২৩৩টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। গত সোমবার রুশ বাহিনী ৪৩টি ড্রোন ছুঁড়েছে জানিয়ে বিমান বাহিনীর একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, ৩৭টি ড্রোন তারা ভূপাতিত করতে সমর্থ হয়েছেন।

এর আগে ৬ অক্টোবর ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, রুশ বাহিনীর ছোঁড়া ড্রোনের ৬০ শতাংশই আকাশে থাকতে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে মোলফার এনজিওর তথ্য মতে, ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ছোঁড়া ড্রোনের ৮০ শতাংশই ভূপাতিত করা হয়েছে।