ইথিওপিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে ইথিওপিয়ার হাজার হাজার মানুষ। গতকাল শনিবার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তাদের দাবি, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চল টাইগ্রেতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিদেশিরা হস্তক্ষেপ করেই যাচ্ছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

রাজধানী আদ্দিস আবাবায় বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

বিক্ষোভকারীর ব্যানার, লিফলেট, ফেস্টুন প্রদর্শন করেছে। তাতে লেখা আছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইথিওপিয়ার সার্বভৌমত্বকে অসম্মান করছে। শহর কর্তৃপক্ষ এই সমাবেশের আয়োজন করে। জনতাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আদ্দিস আবাবার ডেপুটি মেয়র জান্তিরার আবে বলেন, আমরা বিশ্বকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা সবসময় আমাদের সরকার ও দেশের সার্বভৌমত্বের পাশে আছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী আমি আহমেদকে সমর্থন করি। ইথিওপিয়ার ঐক্যে যেকোনো হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা লড়ব। হস্তক্ষেপকারী দেশগুলোকে থামতে হবে।

শান্তি আলোচনা: ইথিওপিয়ায় যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় শান্তি আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, আফ্রিকান ইউনিয়ন শান্তি আলোচনার প্রচেষ্টাকে তারা স্বাগত জানায়।

খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইথিওপিয়ার সংঘাত নিয়ে গত শুক্রবার একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। কিন্তু বৈঠকে ঐকমত্য না হওয়ায় কোনো বিবৃতি জারি করেনি। ইথিওপিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেমেকে মেকনেন বলেন, আমরা যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

২০২০ সালের নভেম্বরে ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলের আফার ও আমহারায় সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। এই সংঘাতে লাখ লাখ মানুষের জরুরি মানবিক সহায়তার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সরকার সম্প্রতি টাইগ্রে অঞ্চলের মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। টাইগ্রে অঞ্চলে দখলমুক্ত করা তিনটি শহর হলো- শায়ার, আলমাতা ও কোরেম।

২০২০ সালের নভেম্বরে ইথিওপিয়ান সরকার টাইগ্রে অঞ্চলের ক্ষমতসীন দল টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে। এতে টাইগ্রে শহরের বেসামরিক কাঠামো, হাসপাতাল, স্কুল, কারখানা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়।

ইথিওপিয়ান ফেডারেল বাহিনী ও আঞ্চলিক মিলিশিয়ার মধ্যে সংঘাত-গোলাগুলিতে অঞ্চলটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দুই মিলিয়নের বেশি লোক পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।