সাবেক সিআইএ প্রধান: ইউক্রেনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক প্রধান জেনারেল ডেভিড পেট্রাউস বলেছেন, ন্যাটো দেশগুলোর জন্য কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে চলমান সংঘাতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে। এক্ষেত্রে ওয়াশিংটন আগ্রহীদের নিয়ে ন্যাটোর বিকল্প একটি জোট গঠন করে এ কাজ করতে পারে। খবর আরটিওয়ার্ল্ড।

মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক প্রধান জেনারেল ডেভিড পেট্রাউস

অবসরপ্রাপ্ত এই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ফ্রান্সের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন এল এক্সপ্রেসকে বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে ভয়াবহ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমেরিকা সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে জবাব দিতে নেমে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে তারা মিত্র দেশগুলোকে সাথে রাখতে পারে এবং ন্যাটোর নেতৃত্ব বাদ দিয়ে নিজেরাই নতুন গঠিত জোটের নেতৃত্ব নিতে পারে।

২০১০-১১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী পেট্রাউস আরও বলেন, মস্কো সংঘাত বাড়াতে এবং এটিকে বৈশ্বিক যুদ্ধে রূপ দিতে আগ্রহী নয়। বরং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের এখন প্রয়োজন একটি শেষ জিনিসের (পরমাণু হামলা)। আর সেটা করলে কোনো কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনি প্রক্রিয়া তখন আর কাজ করবে না।

রাশিয়ার পরমাণু বোমা

বর্তমানে ন্যাটোর নিয়মানুযায়ী, জোটের কোনো সদস্য যদি আক্রান্ত হয় তাহলেই কেবল ন্যাটো অভিযুক্ত দেশের বিরুদ্ধে হামলা চালাবে। এ অবস্থায় রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে আমেরিকা ন্যাটো বাদ দিয়ে নতুন একটি সামরিক জোট গঠন করতে পারে।

চলতি মাসের প্রথম থেকে আমেরিকার সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে পরমাণু হামলা চালায় তাহলে আমেরিকা ইউক্রেনে থাকা রাশিয়ার সব সেনাকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। এমনকি কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার নৌবাহিনীকে ধ্বংস করে দেবে। এল এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন।

ডেভিড পেট্রাউস ২০১১ সালে সিআইএর প্রধান নিযুক্ত হন। তবে তার বায়োগ্রাফি লেখা নারীর সাথে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক থাকার বিষয়ে সমালোচনা শুরু হলে পরের বছর তিনি পদত্যাগ করেন।