আপনি পড়ছেন

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সাথে তুলনা করে আক্ষেপের সাথে জানান, সে সময়ে তৎকালীন মার্কিন নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে যেমন প্রজ্ঞার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল, এখন তা দেখা যাচ্ছে না। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।

sergey lavrov 3রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের ঘটনার সাথে কিউবার সংকটের সাদৃশ্য থাকার কারণ হচ্ছে, রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) সে সময়ও পশ্চিমা অস্ত্র দ্বারা হুমকির মুখে ছিল, আজও একই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ১৯৬২ সালের কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সময় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি বৈশ্বিক সংঘাত মোকাবেলায় যে প্রজ্ঞা দেখিয়েছিলেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সংকট মোকাবেলায় ততটা প্রজ্ঞার পরিচয় দিবেন।

cuba missile crisisকিউবার মিসাইল সংকট মিটেছিল নেতৃবৃন্দের প্রজ্ঞায়

১৯৬২ সালে কিউবার কমিনিস্ট নেতৃত্বকে উৎখাতের চেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর তারা তুরস্কে সাবমেরিন মোতায়েন করে এবং কিউবার কাছাকাছি অঞ্চলে মোতায়েন রাশিয়ার একটি সাবমেরিন ধ্বংসের চেষ্টা চালায়। রাশিয়ার সাবমেরিন ঘটনাটি টের পেয়ে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের চেষ্টা চালায়। পরে রাশিয়া কিউবা থেকে তাদের অস্ত্র-শস্ত্র সরিয়ে ফেলবে- এ শর্তে কেনেডি তুরস্ক থেকে সব সমরাস্ত্র সরিয়ে নিতে সম্মত হন।

তাদের এ প্রজ্ঞার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পরমাণু যুদ্ধ থেকে পৃথিবী বেঁচে যায়। অবশ্য পরে এই দুই পরাশক্তি স্নায়ুযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন এ পরিস্থিতি বিরাজ করার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। এ বছর রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার জের ধরে আবারো দুই দেশ মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষেই যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং দুই পক্ষই একে অপরকে এ ব্যাপারে দোষারোপ করে যাচ্ছে।

ল্যাভরভ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। কারণ ১৯৬২ সালে রুশ নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ এবং মার্কিন নেতা জন এফ কেনেডি যে প্রজ্ঞা দেখিয়েছিলেন, আজ ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এমন কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। তারপরও আশা করছি, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পূর্বপুরুষের মতো প্রজ্ঞার পরিচয় দেবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি। সাম্প্রতিক উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র কী প্রস্তাব দেয় তা শোনার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। তার এ মন্তব্যের জবাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউস।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.