মিয়ানমারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা চায় এইচআরডব্লিউ

আগামী ১০-১৩ নভেম্বর অ্যাসোসিয়েশন অব সাইথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। সংস্থাটি চায়, দেশগুলোর সরকারগুলোর উচিত মিয়ানমার জান্তার বৈদেশিক রাজস্ব কমাতে অস্ত্র ও বিমান জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞার আরোপের ব্যাপারে একমত হওয়া।

মিয়ানমারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা চায় এইচআরডব্লিউ

কম্বোডিয়ায় আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এবং অন্যান্য সংলাপ অংশীদারদের সাথে পার্শ্ব বৈঠকে অংশ নেবে। এই সম্মেলনের পর ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ নেতারা বৈঠকে বসছেন। পরের সপ্তাহে রয়েছে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন গ্রুপের (এপেক) বৈঠক।

এইচআরডব্লিউর এশিয়া ডিরেক্টর এলাইন পিয়ারসন বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নৃশংসতা চালাচ্ছে। আসিয়ানসহ অন্য নেতারা শুধু নিন্দা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছেন। অথচ জান্তার বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

এইচআরডব্লিউ মনে করে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জান্তার উত্থানের পর থেকে ব্যাপক ও পদ্ধতিগত দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। জান্তার সরকার বিচারবহির্ভুত হত্যা, নির্যাতন ও অন্যায়ভাবে কারাবাস, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেই যাচ্ছে। জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

এইচআরডব্লিউ মনে করে, আসিয়ান, জি-২০ এবং এপেক নেতাদের চলমান অধিকার লঙ্ঘনের পরিণতি সম্পর্কে জান্তা সরকারকে শক্তিশালী বার্তা পাঠানোর সময় এসেছে। বেসামরিক গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আগের বছর জাকার্তায় আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে নেতাদের সাথে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান সিনিয়ার জেনারেল মিন অং হ্লাইং পাঁচ দফা ঐকমত্যে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু পরে কোনো কিছুই জান্তা সরকার স্বীকার করেনি। পরবর্তী দেড় বছরে জান্তা সরকার লাখ লাখ জনগণের ওপর ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে, হত্যা করেছে, কারাগারে ভরেছে।

দফাগুলো ছিল, দেশে সহিংসতার অবিলম্বে অবসান ঘটাতে হবে। সব দলের মধ্যে সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সমস্যা সমাধানে বিশেষ দূত নিয়োগ করতে হবে। আসিয়ানের মানবিক সহায়তা এবং মিয়ামারে বিশেষ দূতের সফর নিশ্চিত করা।