পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে উত্তর কোরিয়াকে জবাব

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়াকে হুমকি আখ্যায়িত করে বুধবার সকালে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পিয়ংইয়ং। তার তিন ঘণ্টা পরই পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে জবাব দিয়েছে সিউল। তারা আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। খবর বিবিসি।

দক্ষিণ কোরিয়া আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে

দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করে, উত্তর কোরিয়া অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অবতরণ করে। এর জবাবে তিন ঘণ্টা পর দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশের সমুদ্রসীমার কাছাকাছি কয়েকটি জায়গায় উড়োজাহাজ থেকে ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

সকালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র এমন জায়গায় আঘাত হেনেছে, যা উভয় কোরিয়ার মধ্যে অনানুষ্ঠানিক সমুদ্রসীমা হিসেবে বিবেচিত। ১৯৫৩ সালে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে কোরিয়া যুদ্ধের অবসানের পর এবারই প্রথম এমন জায়গায় কোনো ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানল। জেসিএস এই ঘটনাকে খুবই অস্বাভাবিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যায়িত করে এর সমুচিত জবাব দেয়ার কথা জানায়। তারই প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়া এ ধরনের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো। এর আগে উত্তর কোরিয়ার কোনো পদক্ষেপের এত দ্রুত জবাব দেয়নি দক্ষিণ কোরিয়া।

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ দেখছে কয়েকজন

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সপ্তাহব্যাপী সামরিক মহড়া চলছে। আগামী শুক্রবার এ মহড়া শেষ হবে। উত্তর কোরিয়া এ বিমান মহড়াকে পেশীশক্তির প্রদর্শনী ও উসকানি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এ মহড়াকে উত্তর কোরিয়ার ওপর হামলার পরিকল্পনা হিসেবে আখ্যায়িত করে পিয়ংইয়ং দাবি করছে, আত্মরক্ষার জন্য তারা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মতো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে। এগুলো সিউল ও ওয়াশিংটনের যৌথ সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা।

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে তাদের সাথে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করতে চাইলেও তাতে তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলে না। তাই উত্তর কোরিয়ার অবৈধ অস্ত্র প্রকল্প যাতে আর সামনে বাড়তে না পারে এবং তারা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকিতে ফেলতে না পারে, সে লক্ষ্যে মিত্রদের সাথে তারা কাজ চালিয়ে যাবে।

উত্তর কোরিয়া এ বছর অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এমনকি তারা পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষারও হুমকি দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তাতে তারা তেমন ভ্রুক্ষেপ করেনি।