ইংল্যান্ড-ওয়েলসে সংখ্যায় এগিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে বিদেশি বংশোদ্ভুত জনসংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে। এই ক্যাটাগরির জনসংখ্যা ২০২১ সালে ১০ মিলিয়নে পৌঁছেছে, যা এক দশক আগে ৭.৫ মিলিয়ন ছিল। গত মঙ্গলবার সরকারি আদমশুমারির পরিসংখ্যানে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এই জনসংখ্যার দিক দিয়ে এগিয়ে ভারত। রয়টার্সের খবর।

ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে বিদেশি বংশোদ্ভুত জনসংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে

ব্রিটেনের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, যারা ইংল্যান্ডের বাইরের দেশগুলোতে জন্মগ্রহণ করেছে কিন্তু এখন ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে বসবাস করছেন, তারা দুই এলাকার ৫৯.৬ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ৯৬ লাখ জনসংখ্যার ১৬.৮ শতাংশ। যা ২০১১ সালে ছিল ১৩.৪ শতাংশ।

ওএনএস পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, লন্ডনে বর্তমানে যে জনসংখ্যা রয়েছে, তাদের ৪০.৬ শতাংশ বিদেশি বংশোদ্ভুত। এই হার ২০১১ সালে ছিল ৩৬.৭ শতাংশ। ২০১১ এবং ২০২১ সালের আদমশুমারির মধ্যে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের জনসংখ্যা মোট ৩.৫ মিলিয়ন বা ৩৫ লাখ বেড়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে দ্রুত ও অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ ছিল ব্রিটেনে। এ কারণে ২০১৬ সালে বেক্সিটের পক্ষে জনসমর্থন বেড়েছিল। তারপর থেকে অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ কম হয়েছে। অন্যান্য সরকারি তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের শুরুতে ইইউ অভিবাসীদের ওপর বিধিনিষেধ কার্যকর হওয়ার পর থেকে সামগ্রিক অভিবাসন খুব বেশি ধীর হয়নি।

মঙ্গলবারের আদমশুমারির তথ্যে দেখা গেছে, বিদেশি বংশোদ্ভুত নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দল হলো ভারতে জন্মগ্রহণকারী লোকেরা। তাদের সংখ্যা ৯ লাখ ৮২ হাজার, যা ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের জনসংখ্যার ১.৫ শতাংশ। ভারত ছাড়াও শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে অন্য চারটি দেশ হলো- পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়া।