রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া, অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া গোপনে রাশিয়াকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আর্টিলারি শেল সরবরাহ করছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তথ্যও রয়েছে।’ গতকাল বুধবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ দাবি করেন তিনি। খবর স্ট্রেইটটাইমস।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর মাধ্যমে রাশিয়ায় এ চালান পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে অস্ত্র পাঠিয়ে নিজেদের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করছে পিয়ংইয়ং। আমাদের কাছে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে এবং আমরা বিষয়টি আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে জবাবদিহিতার বিষয়ে জাতিসংঘের সাথে পরামর্শ করবে ওয়াশিংটন।

কিরবি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সরবরাহ করা অস্ত্রের পরিমাণ নেহায়েত কম নয়। এগুলো ইউক্রেনের নাগরিকদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। তিনি মন্তব্য করেন, রাশিয়া উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র নিচ্ছে, এর মাধ্যমে কেবল পিয়ংইয়ং মস্কোকে সমর্থনের বিষয়টিই উঠে আসছে না বরং মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের কারণে মস্কোর অস্ত্রের ঘাটতির লক্ষণকে স্পষ্ট করে তুলছে।

উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের

কিরবি বলেন, উত্তর কোরিয়া তারা এই শেলগুলো কোথায় স্থানান্তর করতে চলেছে সে সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা আছে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল, তারা রাশিয়াকে কখনও অস্ত্র বা গোলাবারুদ সরবরাহ করেনি এবং এটি করার কোনো পরিকল্পনাও তাদের নেই। এ সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে মুখ বন্ধ রাখতে এবং গুজব ছড়ানো বন্ধ করার ব্যাপারে সতর্ক করে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, এ বিষয়ে ইরানের বিরুদ্ধে যেমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রেও অনুরূপ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উত্তর কোরিয়ার ওপর এমনিতেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেন, তাদের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আমরা অতিরিক্ত আরও কিছু ব্যবস্থা নেব।

ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করছে, এমন অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র একটি ইরানী কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এছাড়া আরও তিনটি কোম্পানির ব্যাপারে একই ধরনের অভিযোগ করে ওয়াশিংটন।