আসিয়ান সম্মেলন শুরু, গুরুত্ব পাবে মিয়ানমার সংকট

কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে শুরু হয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে এবার প্রধান যে বিষয়টি নেতারা গুরুত্ব দেবেন তা হলো, মিয়ানমারের বর্তমান সংকট। সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে সবধরনের সতর্কতা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। এজন্য নেতারা অস্বস্তিতে রয়েছেন। সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে দেখা যাবে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

আসিয়ান সম্মেলন

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও আসিয়ানের সভাপতি হুন সেন আজ শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন। এতে তিনি অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে সতর্কতা ও প্রজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা এখন সবচেয়ে অনিশ্চিত সন্ধিক্ষণে রয়েছি। আমাদের দেশগুলোর লাখ লাখ মানুষের জীবন আমাদের প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো হলো- ব্রুনাই, কম্পোডিয়া, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পূর্ব তিমুরকে নতুন সংস্থার সদস্য করতে দেশগুলো সম্মত হয়েছে। কাল শনিবার সম্মেলনে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। যোগ দেবেন রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভও।

আসিয়ানের বেশ কয়েকজন নেতা সংস্থাটির নেতৃত্বকে দোষারোপ করেছেন মিয়ানমারে শান্তি ফেরাতে ব্যর্থতার জন্য। গতবছর সংস্থাটি একটি যৌথ শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল, কিন্তু তা আলোর মুখ দেখেনি। শান্তি পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার ছিলো, জনগণের সাথে জান্তার শত্রুতার অবসান ও দূত পাঠানোর অধিকারের বিষয়টি। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।

খবরে বলা হচ্ছে, আসিয়ানের বৈঠকগুলোতে গতবছর থেকে মিয়ানমার জান্তা সরকারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মিয়ানমার জান্তা শান্তি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রাখেনি। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছিলেন, শান্তি পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য আসিয়ান নয়, জান্তা সরকার দায়ী।

ডফলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র গতকাল বৃহস্পতিবার হুন সেনের সাথে বৈঠক করেছেন। এ সময় তিনি মিয়ানামারে শান্তি ফেরাতে একমত্য পোষণ করেন এবং আসিয়ান দেশগুলোর সাথে যৌথভাবে আরও কিছু শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।