চলতি বছর রেকর্ড অভিবাসী ঢুকেছে ব্রিটেনে

চলতি বছর ইংলিশ চ্যানেলসহ অন্যান্য সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী প্রবেশ করেছে। এই সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। এর আগের বছর আসা অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৫৬১ জন। যুক্তরাজ্য সরকার গতকাল রোববার জানিয়েছে, ফ্রান্সের সাথে চোরাচালান বন্ধে চুক্তির বিষয়টি সামনে আসার পর এই বৃদ্ধির ঘটনা ঘটল। এএফপির খবর।

২০২২ সালে ব্রিটেনে ৪০ হাজারের বেশি অভিবাসী প্রবেশ

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে অভিবাসী ঢুকেছে ৪০ হাজার ৮৮৫ জন। এদের বেশিরভাগ আলবেনিয়া, ইরান ও আফগানিস্তানের নাগরিক। গত শনিবারও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে প্রবেশ করেছে ৯৭২ জন।

পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালে প্রবেশ করা অভিবাসীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২৯৯ জন। পরবর্তীকালে তা বাড়তেই থাকে। ২০১৯ সালে ১৮৪৩ ও ২০২০ সালে ৮৬৫৫ জন প্রবেশ করেছিল। এই পরিসংখ্যান দিন দিন বাড়ছে।

এর আগে যুক্তরাজ্য অবৈধ অভিবাসীদের আফ্রিকার রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তা আদালতে আটকে গেছে। গত সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছিলেন, ফ্রান্সের সাথে একটি নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের সাথে গত শুক্রবার প্রথম বৈঠকের পর তিনি ওই আশ্বাস দেন।

ব্রিটেন-ফ্রান্স আলোচনায় ছোট নৌকা দিয়ে ক্রসিং বন্ধে দুদেশের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক যৌথ বিবৃতিতে অবৈধ অভিবাসন বন্ধে সকল প্রকার ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে গত কয়েকবছর ধরে আপত্তি উঠছে। যুক্তরাজ্য সরকারের আবাসন খরচ বেড়ে এখন প্রতিদিন ৭.৮ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে স্থানীয় পরিষেবায় ব্যাপক চাপ পড়েছে, জনগণের ক্ষোভ দিনদিন বাড়ছে।

সানডে টেলিগ্রাফে দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক বলেছেন, ব্রিটেনের উদারতার অপব্যবহার করছে অভিবাসীরা। অপরদিকে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে অভিবাসীদের একটি কেন্দ্র নিয়ে সমালোচনা ঝড় উঠেছে। সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অভিবাসীদের রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে শরণার্থী অধিকার গোষ্ঠীগুলো।