আফগানিস্তানের শরিয়া আইন বাস্তবায়নের নির্দেশ!

আফগানিস্তানে পরিপূর্ণ শরিয়া আইন বাস্তবায়নে বিচারকদের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা। বিচারক দলের সাথে সাক্ষাতের সময় তিনি এ নির্দেশ দেন। গত রোববার গভীর রাতে তালেবানের প্রধান মুখপাত্র এক টুইটে এ কথা জানান। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

আফগানিস্তান

তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা বিচারকদের ইসলামিক আইনের দিকগুলো অর্থাৎ প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড, পাথর মারা, বেত্রাঘাত এবং চোরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলার বিধান পুরোপুরি প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।

চোর, অপহরণকারী ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের ফাইল সাবধানে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়ে আখুন্দজাদা বলেন, যে সব ফাইলে হুদুদ ও কিসাসের শর্ত পাওয়া গেছে, আপনি তা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য। এটি শরীয়তের বিধান এবং আমার আদেশ, যা বাধ্যতামূলক।

ইসলামী আইনের অধীনে হুদুদ বলতে সাধারণত সেসব অপরাধকে বোঝায় যেগুলোতে নির্দিষ্ট ধরনের শাস্তি বাধ্যতামূলক। এ ধরনের অপরাধের মধ্যে রয়েছে হত্যা, ব্যভিচার, কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা, মদপান, চুরি, অপহরণ, রাহাজানি, ধর্মত্যাগ, বিদ্রোহ। শরিয়ার বিধান অনুযায়ী এসব ক্ষেত্রে শাস্তি বিধানের জন্য উচ্চমাত্রার প্রমাণের দরকার হয়।

১৯৯৬-২০০১ তালেবান শাসনের প্রথম দফায় বেশ কঠোরভাবেই শরিয়া আইন বাস্তবায়ন করা হয়েচিল। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে তুলনামূলক নমনীয় শাসনের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে সমালোচকরা দাবি করছেন, তারা আগের মতোই শরিয়া আইন পালনে কঠোরতা দেখাচ্ছে। আর এ কারণেই নারীদের চাকরি ও পড়াশোনার স্বাধীনতা দেওয়া হচ্ছে না।

এছাড়া বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও অভিযোগ এনেছে তারা তালেবান প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

গত বছরের আগস্টে তালেবান কাবুলের ক্ষমতা দখল করে। এরপর এক বছরের বেশি সময় পার হলেও কোনো দেশ এখন পর্যন্ত তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারা বাধার মুখে পড়ছে। এর ফলে যেমন দারিদ্র্য বাড়ছে, তেমনি দেশের মানুষ সংকটের মুখে পড়ছে।