শাটডাউনের পথে কিয়েভ!

ইউক্রেন দাবি করছে, এক মাসের বেশি সময় ধরে অব্যাহত রুশ হামলায় দেশের জ্বালানি খাতের অর্ধেকের বেশি অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে আসন্ন শীতে কিয়েভের বিদ্যুৎব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গতকাল শুক্রবার ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগাল এ মন্তব্য করেন। খবর রয়টার্স।

রুশ হামলায় জ্বলছে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র

ইউরোপীয় মিত্রদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে ইউক্রেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু ১৫ নভেম্বরেই প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। জ্বালানি খাতের প্রায় অর্ধেকের মতো অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিয়েভ সূত্রে জানা গেছে, শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে শহরটির পাওয়ার গ্রিডের পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

কিয়েভ শহরের প্রশাসনের উপ-প্রধান মাইকোলা পোভোরোজনিক এক টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, অবস্থা এখন যেদিকে যাচ্ছে, তাতে আমরা সম্পূর্ণ শাটডাউনসহ বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ব্ল্যাকআউটের কবলে ইউক্রেন

এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, ইউক্রেনের প্রায় এক কোটি মানুষ এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। অনেক এলাকায় জরুরি ব্ল্যাকআউটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের ন্যাশনাল গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে ছয়টি বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কোনো বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে না। তাদের বাহিনী ইউক্রেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা এবং কিছু শিল্প স্থাপনায় হামলার জন্য দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করেছে। রাশিয়া দাবি করছে, তারা যুদ্ধ বন্ধের জন্য কিয়েভের সাথে আলোচনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা এ আলোচনায় রাজি না হওয়ায় হামলা জোরদার হয়েছে।

এদিকে কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনের যেসব এলাকা থেকে রুশ বাহিনী সরে যেতে বাধ্য হয়েছে, তারা সেখানকার বেসামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দিয়ে যাচ্ছে। ফলে সেখানে বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ এবং ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।