জাতিসংঘকে ‘একচোখা’ বলল উত্তর কোরিয়া

জাতিসংঘের বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির অভিযোগ, পিয়ংইয়ংয়ের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে জাতিসংঘ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। বিশ্ব সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এজন্য দেশটি জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসকে দায়ী করেছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ উত্তর কোরিয়ার

রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার নিন্দা জানানোয় দুঃখ প্রকাশ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের মনোভাব নিয়ে আমাদের দুঃখ হয়, কারণ সংস্থাটি একচোখা আচরণ করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষাবলম্বন করছেন। মার্কিন বাহিনী বিপজ্জনক সামরিক তৎপরতা চালালেও জাতিসংঘ মহাসচিব উল্টো উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন।

চো দাবি করেন, গুতেরেসের মন্তব্য জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতিগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে সংস্থাটির প্রধানের বক্তব্য ছিল একপেশে ও অবিবেচনাপ্রসূত। সংস্থাটির নেতা উত্তর কোরিয়াকে অবজ্ঞা করেছেন। জাতিসংঘকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল বলে আখ্যায়িত করেন চো।

খবরে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া মিসাইল উৎক্ষেপণের মিছিল সৃষ্টি করেছে বলা যায়। যা নতুন রেকর্ড গড়েছে। উত্তর কোরিয়ার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের পক্ষে জাতিসংঘ এসব কথা বলছে।

গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটিকে অপরিবর্তনীয় পারমাণবিক রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। এরপর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে সামরিক মহড়াসহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করে।

চো বলেন, আমরা জাতিসংঘ মহাসচিবকে কোরীয় উপদ্বীপের বিষয়টি নিরাপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে বিবেচনার করার ব্যাপারে সতর্ক করেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির বাহিনীর উপস্থিতি এই অঞ্চলে অস্থির পরিবেশ তৈরি করেছে। এতে আঞ্চলিক নিরাপত্তায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অথচ জাতিসংঘের পক্ষ থেকে উল্টো উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া, সেটি ৬ হাজার ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় ১০০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী মনে করে, এটিই উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র।