'ইউক্রেনে পাঠানো অস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছে যেতে পারে'

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির (এনসিএ) মহাপরিচালক গ্রায়েম বিগার সতর্ক করে বলেছেন, পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে যে সব অস্ত্র দিচ্ছে সেগুলো বিভিন্ন অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যেতে পারে। কারণ যে কোনো সংঘর্ষ বা সংঘাতে যখন এভাবে অস্ত্র দেওয়া হতে থাকে, তখন শেষ পর্যন্ত সে সব অস্ত্র অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের হাতে গিয়ে পড়ে। খবর দ্য টাইমস।

এনসিএ মহাপরিচালক গ্রেম বিগার

সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রেম বিগার এ সতর্কবার্তা দেন। গত আগস্টে এনসিএর দায়িত্ব নেওয়া এই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের পুলিশ রাস্তায় পিস্তল, মেশিনগান ও গ্রেনেডের দিকে নজর রাখছে।

বিগার বলেন, এনসিএ এখন পর্যন্ত যদিও অপরাধীদের হাতে ইউক্রেনের অস্ত্র পাওয়ার কোনো প্রমাণ দেখেনি, তারপরও ইন্টারপোল ও ইউরোপোল উভয়কেই সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত অস্ত্র অনিবার্যভাবে দেশ ছেড়ে যাবে এবং কালোবাজারে গিয়ে থামবে।

ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র

ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ প্রধান অবশ্য এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা সব অস্ত্রের হিসাব নেওয়া হচ্ছে। তারপরও ইউরোপোলসহ অন্যান্য ইউরোপীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ ব্যাপারে কড়া নজর রেখেছে।

এর আগে মস্কো দাবি করেছিল, প্রতি মাসে ইউক্রেন থেকে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে চলে যাচ্ছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত মাসে বলেছিলেন, ইউক্রেন থেকে এসব অস্ত্র অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার হুঁশিয়ারি করে বলেছেন, ইউক্রেনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র পাঠিয়ে পশ্চিমারা নিজেদেরকে এই সংঘাতের মূল অংশীদার করে তুলছে। তিনি গত মাসে দাবি করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধী গোষ্ঠীগুলো ইউক্রেন থেকে পোর্টেবল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমসহ উন্নত, নির্ভুল ও শক্তিশালী অস্ত্র পাচ্ছে।

ইউক্রেনকে অস্ত্র প্রদানকারী দেশগুলো একবার স্বীকার করেছিল, তারা কিয়েভকে যে অস্ত্র দেয়, পরবর্তী পর্যায়ে কী হয়েছে, তা তারা ট্র্যাক করতে পারে না। ফলে ঠিক কী পরিমাণ অস্ত্র ইউক্রেনবাহিনীর হাতে থাকছে এবং কী পরিমাণ বাইরে চলে যাচ্ছে, তার পরিষ্কার কোনো ধারণা তাদের কাছে নেই।