আস্তানা ফরম্যাটে ইদলিবে শান্তি ফেরানোর প্রত্যয়

কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় ‘আস্তানা ফরম্যাট’ এর ১৯তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলছে। বুধবার দুদিনব্যাপী আলোচনা শেষ হবে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া বৈঠকে সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে রাশিয়া, তুরস্ক, ইরান, সিরিয়া এবং সিরিয়ান বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো- ইদলিব এবং ফোরাতের উত্তর-পূর্বে শান্তি ফেরানো। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

‘আস্তানা ফরম্যাট’ এর ১৯তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন

গত সপ্তাহে কাজাখস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, বৈঠকে সিরিয়ার পরিস্থিতি, দেশটির রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বিষয়গুলো জাতিসংঘের নিরাপত্তার পরিষদের রেজুলেশন অনুসরণ করে আলোচনা হবে। এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরামর্শগুলো গ্রহণ করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

বৈঠকে পর্যবেক্ষক হিসেবে আছেন জাতিসংঘ, জর্ডান, লেবানন এবং ইরাকের প্রতিনিধিরা। আলোচনা শুরুর আগে সিরিয়ায় নিযুক্ত রাশিয়ার বিশেষ প্রতিনিধি আলেকজান্ডার ল্যাভরেন্টিয়েভ বলেছিলেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার উপায় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। সেক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় ও ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে। আমাদের অগ্রাধিকার হলো ইদলিব এবং ফোরাতের উত্তর-পূর্বে শান্তি ফেরানো।

এদিকে কাজাখ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আয়বেক স্মাদিয়ারভ বলেছেন, আলোচনার দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলন হবে। সেখানে নেতাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ঘোষণা আসবে।

ডসরিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা পায় আস্তানা ফরম্যাট। ২০১১ সাল থেকেই মূলত এটির আলোচনা শুরু হয়। আসাদ সরকার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করার পর থেকেই মূলত গৃহযুদ্ধ চলছে। গত জুন মাসে সর্বশেষ আস্তানা ফরম্যাটের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল মস্কোতে সিরিয়া নিয়ে একটি আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, আসাদ সরকার বিরোধীদের সাথে ক্ষমতাসীনদের বিরোধ মেটাতে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হবে। পরে সেটি ‘আস্তানা ফরম্যাট’ নামে রূপ পায়।

প্রথম দফা আলোচনা কাজাখস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরলান ইদ্রিসভের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত হয়। পরে কাজাখ প্রেসিডেন্ট নুর সুলতান নাজারবায়েভকে আলোচনার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। নাজারবায়েভ আলোচনার আয়োজন করতে সম্মত হন।