‘সনদ বাতিলের ক্ষমতা ইউজিসির নেই’

ভিসি নিয়োগের প্রস্তাব পেশ করা থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ বলার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেই বলে জানিয়েছে ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী এই কথা বলছেন বলেও তারা দাবি করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালত অথবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানই বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ বলার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন। সুতরাং ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বৈধ।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি নিয়োগের প্রস্তাব না দিয়ে নিজেরা ভিসি নিয়োগ দিলে সেই ভিসিকে রাষ্ট্রপতি অপসারণ করবেন, ইউজিসি নয়। এছাড়া তারা বলেন, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ করতে না পারার দায় পুরোটাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ই ভিসি নিয়োগের প্যানেল প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভিসি নিয়োগ না দেওয়ায় কর্তৃপক্ষ ভারপ্রাপ্ত ভিসি নিয়োগ দিয়েছে।

এর আগে গত ২১ নভেম্বর দেশের ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ ঘোষণা করে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকৃত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ইউসিজির চেয়ারম্যান বলেন, 'আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক চার বছর মেয়াদে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি, এবং কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এসব পদে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাউকে নিয়োগ দিলে সেটা বৈধ হবে না। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য সাক্ষর ছাড়া কোন সার্টিফিকেট বৈধ হবে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সম্পূর্ণ তথ্য জেনে তারপর ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সনদ বাতিল করা ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, রয়েল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, জার্মান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি, কাদিরাবাদ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সৈয়দপুর ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, জেডএইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি-আরএসটিইউ, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

সিইওকে অবরুদ্ধ করে সিটিসেলকর্মীদের অবস্থান ধর্মঘট

কর্মক্ষেত্রে ১০ ভাগের বেশি নারী পুলিশ যৌন হয়রানির শিকার

শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামিতে বেসামাল জাপান

মোশাররফ করিমের জন্য ভারতীয় ভক্তের কান্না

পবিত্র কাবা শরীফকে অবমাননা, সৌদিতে ভারতীয় গ্রেফতার