দেশবাসীকে সাবধান করে দিলেন জেলেনস্কি
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আশঙ্কা করছেন, শীতে নতুন করে বিধ্বংসী হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তৃতায় বলেন, বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকায় এই শীতে আমাদের সকলকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি
৯ মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়া। বিশেষ করে গত দুই তিনমাসের হামলায় রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামোতে অব্যাহতভাবে বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ফলে বিদ্যুতের অভাবে বারবারই ব্ল্যাকআউটের শিকার হচ্ছে রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকা।
এরইমধ্যে ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে বরফ পড়তে শুরু করেছে। শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিদ্যুৎ, গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই ইউক্রেনের নাগরিকদের কাছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা যায়, রুশ হামলার কারণে বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে পড়েছেন ইউক্রেনের প্রায় ১ কোটি বাসিন্দা। বিদ্যুতের অভাবে তাদের বাড়িতে রুম হিটার কাজ করছে না, পানির লাইনেও পানি নেই।
ব্ল্যাকআউটের শিকার ইউক্রেন
এমন অবস্থায় দেশজুড়ে বিশেষ আশ্রয় শিবির খোলার ঘোষণা দিয়েছেন জেলেনস্কি। এসব আশ্রয় শিবিরে বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ওষুধ, বিনামূল্যে যন্ত্রপাতি চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমী দেশগুলোর সহায়তায় এরইমধ্যে আশ্রয় শিবির খোলার কাজও শুরু হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন সরকার কতজনের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বসন্ত পর্যন্ত ব্ল্যাকআউটের জন্য বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় তিনি কিয়েভের জনগণকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে ভিন্ন কিছুর জন্য প্রস্তুত না হলে, সেটি একটি বড় ভুল হবে।
ক্লিটসকো বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের লক্ষ্য ইউক্রেনের শক্তি ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া। আমরা সবাই দেশ ছেড়ে চলে গেলে সেটিই হবে তার জন্য সেরা দৃশ্য। তখন তিনি কোনো বাধা ছাড়াই আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করবেন এবং আমাদের জায়গা, আমাদের দেশ নিয়ে যাবেন। এটিই তার স্বপ্ন।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি, আমরা এই আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাব এবং শান্তিপূর্ণ ইউক্রেনে পরবর্তী নববর্ষ উদযাপন করব।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর