আপনি পড়ছেন

ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় দুই শহরে শ্বেতাঙ্গরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। লন্ডন ও বার্মিংহাম শহরে বর্তমানে ‘শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ’ বা ‘হোয়াইট ব্রিটিশ’ হিসেবে পরিচয়দাতা নাগরিকের সংখ্যা মোট অধিবাসীর অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। সর্বশেষ আদমশুমারিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। পরিসংখ্যানবিদরা বিষয়টিকে ব্রিটিশ সমাজে বৈচিত্র ও বহু সংস্কৃতির মেলবন্ধন বাড়তে থাকার লক্ষণ হিসেবে দেখছেন। খবর দ্য টেলিগ্রাফ।

uk birmingham tlsdবার্মিংহামে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বেশি

অফিস অব ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের (ওএনএস) তথ্যে দেখা যায়, ২০১১ সালে বার্মিংহামে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ জনসংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৮১ হাজার, যা সেখানকার মোট অধিবাসীর ৫২ শতাংশ। ২০২১ সাল নাগাদ শহরটিতে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজার, যা বার্মিংহামের মোট অধিবাসীর ৪৩ শতাংশ।

একইভাবে লন্ডনে ২০১১ সালে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ নাগরিকের সংখ্যা ছিল ৪৯ লাখ, অর্থাৎ মোট অধিবাসীর ৪৫ শতাংশ। ২০২১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ব্রিটেনের প্রধান শহরটিতে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ রয়েছেন মোট ৪৭ লাখ, যা শহরের মোট অধিবাসীর ৩৭ শতাংশ।

এ বিষয়ে মাইগ্রেশন ওয়াচের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ব্যাপক হারে অভিবাসন ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের জনসংখ্যায় যে বিরাট জনমিতিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে, আদমশুমারির তথ্যে সেটাই উঠে এসেছে। ওএনএসের তথ্যে দেখা গেছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে জাতিগত শ্বেতাঙ্গ হিসেবে নিজের পরিচয় দেন, এমন মানুষের মোট সংখ্যা এক দশকের ব্যবধানে আগের তুলনায় ৫ লাখ কমেছে।

২০১১ সালের আদমশুমারির দিন ব্রিটেনের মোট অধিবাসীর ৮৬ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ বলে নিজের পরিচয় দেন। ২০২১ সালের আদমশুমারির দিন শ্বেতাঙ্গ  পরিচায়দাতার হার ছিল মোট অধিবাসীর ৮১ দশমিক ৭ শতাংশ।

শ্বেতাঙ্গদের পর সবচেয়ে বড় নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠী হলো এশিয়ানরা। ২০১১ সালে এশিয়ান ব্রিটিশ অথবা এশিয়ান ওয়েলশ পরিচয়দাতার হার ছিল মোট ব্রিটিশ অধিবাসীর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া ‘শ্বেতাঙ্গ: অন্যান্য’ পরিচয়দাতা অধিবাসীর সংখ্যা ২০১১ সালে ছিল ২৫ লাখ (৪ দশমিক ৪ শতাংশ), ২০২১ সালে ‘শ্বেতাঙ্গ: অন্যান্য’ পরিচয়দাতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭ লাখ (৬ দশমিক ২ শতাংশ)।

জাতিসত্তার পরিচয় দিতে গিয়ে ‘অন্যান্য’ অপশনে টিক চিহ্ন দিয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ২০১১ সালে ছিল ৩ লাখ ৩৩ হাজার অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২১ সালে ‘অন্যান্য’ শ্রেণিভুক্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ২৪ হাজার, যা ব্রিটেনের মোট অধিবাসীর ১ দশমিক ৬ শতাংশ।

‘শ্বেতাঙ্গ’ পরিচয়দাতার বাইরে অন্য সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ২০১১ সালে কৃষ্ণাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ ব্রিটিশ, কৃষ্ণাঙ্গ ওয়েলশ, ক্যারিবিয়ান অথবা আফ্রিকান পরিচয়দাতার সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৯০ হাজার বা মোট অধিবাসীর ১ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২১ সালে এমন পরিচয়দাতার সংখ্যা হয়েছে ১৫ লাখ, যা মোট মোট অধিবাসীর ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

২০২১ সালের আদমশুমারিতে ব্রিটেনের ২৫ লাখ পরিবারে একাধিক জাতিসত্তার মানুষ পাওয়া গেছে। প্রতি ১০ পরিবারের মধ্যে একটিতে দুই অথবা ততধিক জাতিসত্তার সদস্য রয়েছে। ২০১১ সালে এমন মিশ্র জাতিসত্তার সদস্যদের নিয়ে গঠিত পরিবার ছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

ব্রিটিশ সেনসাসের ডেপুটি ডিরেক্টর জন রথ-স্মিথ বলেন, নতুন প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তে স্পষ্ট হয়েছে আমরা ক্রমশ আগের চেয়ে অধিক বৈচিত্রময় সমাজে রূপান্তর হচ্ছি। শ্বেতাঙ্গ, ইংলিশ, ব্রিটিশ, ওয়েলশ, স্কটিশ, নর্দার্ন আইরিশ এমন পরিচয়দাতা মানুষের হার দিনদিন কমছে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.