কিয়েভকে একাই লড়তে হবে না, পাশে থাকবে ন্যাটো

ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের জন্য ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অংশগ্রহণে শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফরকালে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি জানান, এই নিরাপত্তা পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করে তোলা।

কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রুটে বলেন, ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি অপরিহার্য। ভবিষ্যতে কোনো চুক্তি হলে রাশিয়া যেন বুঝতে পারে যে ইউক্রেন একা নয় এবং তারা যেন আর কখনো ইউক্রেনের এক বর্গকিলোমিটার ভূমিও দখলের সাহস না করে’।

রুটে জানান, এই নিরাপত্তা নিশ্চয়তা হবে দুই স্তরবিশিষ্ট। প্রথম স্তরে, যুদ্ধের পর ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী করা হবে, যেন দেশটি নিজেই নিজের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। দ্বিতীয় স্তরে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরাসরি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, যা রাশিয়ার যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেবে।

অতীতের ব্যর্থ চুক্তির পুনরাবৃত্তি চান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডাম বা মিনস্ক চুক্তির মতো কিছুর পুনরাবৃত্তি চাই না। এবারের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা হতে হবে টেকসই ও কার্যকর’।

কিয়েভকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ন্যাটোর বর্তমান ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন রুটে। তিনি বলেন, ‘ন্যাটো এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে গর্বের সঙ্গে জড়িত। আমাদের সহায়তা ইউক্রেনকে এখন যুদ্ধে টিকে থাকতে এবং ভবিষ্যতে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে সাহায্য করছে’।

রুটে আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান এবং ন্যাটো নেতৃত্ব একযোগে ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদে সহযোগিতার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে ন্যাটো মহাসচিব রাশিয়ার সঙ্গে চলমান অচলাবস্থা নিরসনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প এই অচলাবস্থা ভাঙতে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।