ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানো চায় না চীন

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নাক না গলাতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রধান কার্যালয় পেন্টাগন। খবর এনডিটিভি।

গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষ, ফাইল ছবি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশের সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) নিয়ে ভারতের সঙ্গে ‌দ্বন্দ্বের পুরো বিষয়টিকে হালকা করে দেখানোর চেষ্টা করেছে চীন। তারা বলছে, বেইজিং ভারত সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চায়, যাতে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্য ক্ষেত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কারণ দুই দেশের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক বিদ্যমান থাকলেও ভারতে প্রচুর পণ্য রপ্তানি করে চীন। এই সুযোগে যাতে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ রূপ লাভ না করে সেদিকেও খেয়াল রেখেছে পিপলস রিপাবলিক অব চায়না (পিআরসি)।

পেন্টাগনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সাল জুড়ে পিআরসি সীমান্তে বাহিনী মোতায়েনের পাশাপশি বেশকিছু পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে। এরইমধ্যে ভারত ও চীন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বহুবার বৈঠকে বসেছে। তাতে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি আসেনি।

পেন্টাগন

২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কাঁটাতারে মোড়ানো পাথর, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে মুখোমুখি হয়েছিল দুই পক্ষ। এতে ২০ জন ভারতীয় সেনা ও চীনের চারজন সেনা নিহত হয়। এরপর থেকে উভয় পক্ষ প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রত্যাহার করে পুরোনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানায়। কিন্তু দুই দেশই এ দাবি পূরণে একমত হয়নি।

ভারত দাবি করছে, চীন তাদের সীমানার মধ্যে ঢুকে অবকাঠামো তৈরি করছে। অন্যদিকে চীন দাবি করছে, জায়গাটি তাদের দেশেরই অংশ, ভারত বরং সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করছে। ফলে দুই দেশই সীমান্তে তাদের উপস্থিতি আগের তুলনায় অনেক জোরদার করেছে এবং দেশের অন্য স্থান থেকে সহজে সেখানে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো তৈরি করছে। এসব নিয়ে উভয় দেশ আপত্তি তুললেও শেষ পর্যন্ত সেগুলো আর সংঘাতে গড়ায়নি।