মার্কিন কালো তালিকায় ইরান-রাশিয়া, নেই ভারত

ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনকারী দেশের তালিকায় এবার চীন, ইরান ও রাশিয়াকে যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশগুলো নিয়ে বিশেষ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন। তবে ভারতের বিরুদ্ধে তেমন কোনো শক্ত অবস্থান নেয়নি দেশটি। শুক্রবার ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ইরান ও রাশিয়াকে রাখা হয়েছে কালো তালিকায়। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।

ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন: মার্কিন তালিকায় ইরান-রাশিয়া, নেই ভারত

ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘনে যেসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্র কালো তালিকায় রেখেছে, সেসব দেশ হলো- রাশিয়া, ইরান, ইরিত্রিয়া, মিয়ানমার, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান। এছাড়া এই তালিকায় রয়েছে নিকারাগুয়া ও কিউবা। লাতিন দেশ দুটি বামপন্থী নেতাদের শাসনে পরিচালিত হচ্ছে। এসব দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে ওয়াশিংটন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে সরকার ও প্রভাবশালী নেতারা ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে জনগণের স্বাধীনতাকে ভূলণ্ঠিত করছে। এমনকি এ নিয়ে প্রতিপক্ষক্ষে জেল, জুলুম, হয়রানি এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ধর্মীয় স্বাধীনতার ব্যাপারে কোনো ধরনের অপব্যবহার মেনে নেবে না। তবে এ নিয়ে যদি কোনো দেশ ওয়াশিংটনের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে চায়, তাহলে তাদের স্বাগত জানানো হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনে আলজেরিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কমোরস এবং ভিয়েতনামকে নজরদারি তালিকায় রাখা হয়েছে।

সিরিয়া, আফ্রিকা এবং ইউক্রেনে সক্রিয় বেসরকারি আধাসামরিক সংস্থা ক্রেমলিন সমর্থিত ওয়াগনার গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি গ্রুপকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এসব গ্রুপও ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের কাজে জড়িত।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন বিভাজনের বীজ বপণ করে থাকে। এটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলে।

এদিকে ভিয়েতনামকে হুশিয়ারি দিলেও ভারতের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র। অথচ আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত স্বায়ত্তশাসিত ইউএস কমিশনের (ইউএসসিআইআরএফ) সুপারিশ ছিল, ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকারের অধীনে সংখ্যালঘুদের সাথে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে। এই বিষয়টি নতুন পদক্ষেপে এড়িয়ে গেছে ওয়াশিংটন। এরপরও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারত। ভারতের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক প্রতিবেদনে বৈষম্যমূলক বিবরণ নথিভুক্ত করেছে।