রাশিয়ার তেলে মূল্যসীমা আরোপ, মস্কোর পাল্টা হুঁশিয়ারি
- Details
- by আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও পশ্চিমা দেশগুলো যে মূল্যসীমা আরোপ করেছে মস্কো তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ক্রেমলিনের মূখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মূল্যসীমার বিরুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষ থেকে শীঘ্রই পাল্টা পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে। তেল রপ্তানিকারকদের সংগঠন ওপেকে রাশিয়ার প্রতিনিধি মিখাইল উলিয়ানভ বলেছেন, চলতি বছর থেকে ইউরোপকে রাশিয়ার তেল ছাড়াই চলতে হবে। খবর ব্লুমবার্গ, তাস।
মূল্যসীমার অতিরিক্ত দামে রপ্তানিকৃত রুশ তেলের চালান পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে ইইউ ও জি৭ দেশগুলো
মিখাইল উলিয়ানভ বলেছেন, ইউক্রেনের পশ্চিমা সমর্থকরা রাশিয়ার রপ্তানিকৃত তেলের মূল্যসীমা বেঁধে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, সেজন্য তাদের পস্তাতে হবে। আমরা আগেই বলেছি, যেসব দেশ বাজারের স্বাভাবিক রীতির বিরুদ্ধে ঘোষিত এ মূল্যসীমা সমর্থন করবে, রাশিয়া তাদের কাছে তেল রপ্তানি করবে না। আমাদের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসছে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। দেখবেন, ইইউ আবারও অভিযোগ করবে যে রাশিয়া তেলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
এর আগে শুক্রবার দীর্ঘ আলোচনা ও বাদানুবাদের পর ইউরোপীয় কূটনীতিকরা রাশিয়ার রপ্তানিকৃত প্রতি ব্যারেল তেলের সর্বোচ্চ মূল্য ৬০ ডলার নির্ধারণের একটি প্রস্তাবে সম্মত হন। যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি ও পোল্যান্ডের প্রতিনিধিরা এতে গোস্বা করে বলেছেন, রাশিয়ার তেলের ব্যারেল প্রতি মূল্য সর্বোচ্চ ৩০ ডলার হতে পারে। ৬০ ডলার মূল্যসীমা আরোপ করলে রাশিয়ার অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত ক্ষতিসাধন হবে না।
ইইউর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া এ মূল্যসীমা সমর্থন করছে। আগামীকাল সোমবার থেকে মূল্যসীমা কার্যকরের কথা রয়েছে। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, নির্ধারিত মূল্যসীমার মধ্যে রপ্তানিকৃত তেলের চালান পরিবহন ও জাহাজীকরণের জন্য কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় সেবা দেবে। মূল্যসীমার অতিরিক্ত দরে রাশিয়া থেকে তেল রপ্তানি হলে শিপিং লাইন্স ও বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য ওই চালান পরিবহন ও বীমা সুবিধা প্রদান নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হবে।
মূল্যসীমা আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। মূল্যসীমা মোকাবেলায় কিছু প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। আমরা কি ব্যবস্থা নেব তা শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, মূল্যসীমা মেকানিজমে অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলোর কাছে রাশিয়ার কোনো কোম্পানি যাতে তেল বিক্রি না করে এবং কোনো ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান যাতে ওইসব পক্ষের হয়ে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল না কিনে, তা নিশ্চিত করতে রুশ সরকার একটি নির্বাহী আদেশের খসড়া প্রস্তুত করছে।
জানা গেছে, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানি পন্য বিক্রির চুক্তিতে মূল্যসীমার কোনোরকম উল্লেখ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হবে। মূল্যসীমা প্রবর্তনকারী দেশগুলোর বন্দর অভিমুখে রাশিয়ার তেল ও তেলজাত পন্যের কোনোরকম চালান বোঝাই ও জাহাজীকরণ নিষিদ্ধ করা হবে।
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক গতমাসে বলেছেন, মূল্যসীমা আরোপ হলে রাশিয়ার তেলের চালানের গন্তব্য পরিবর্তন হবে। আমরা কেবলমাত্র বাজারমুখী অংশীদারদের কাছে তেল বিক্রি করবো অথবা তেল উৎপাদন কমিয়ে দেব।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর