আপনি পড়ছেন

মনে করা হয়েছিল, অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ইউক্রেনকে নাস্তানাবুদ করে, কথা মানতে বাধ্য করে দেশে ফিরে আসবে রাশিয়ার সেনারা। কিন্তু দ্বিপাক্ষীয় এই যুদ্ধে আরও অনেক পক্ষ জড়িয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণে থাকেনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। ফলে যুদ্ধের শুরুর দিকে পুতিনের যে পরিমাণ জনসমর্থন ছিল, তা এখন অর্ধেকেরও নিচে এসেছে। ক্রেমলিনের গোপন একটি সমীক্ষা রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এমনই দাবি করেছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।

putin 40ভ্লাদিমির পুতিন

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি না হওয়ায় পুতিনের সমর্থনেও সে সময় কোনো টান পড়েনি। গত জুলাইয়ে চালানো এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ৫৭ শতাংশ মানুষ ছিলেন যুদ্ধের পক্ষে। তবে ৯ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধেও কোনো ফল না আশায় এখন মানুষ হতাশ। যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন নেমে এসেছে ২৫ শতাংশে। অনেকে এটিকেই পুতিনের জনসমর্থন হিসেবেও গণ্য করছে। ফলে যুদ্ধ নিয়ে মাথা ঘামানো কর্মকর্তাদের এখন এ বিষয়টি নিয়েও চিন্তা করতে হচ্ছে।

ক্রেমলিনের গোপন সমীক্ষা রিপোর্টের বরাত দিয়ে স্কাই নিউজের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা এত দিন কোনো ইতস্তত করা ছাড়াই যুদ্ধের পক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন, এখন তাদের চিন্তায় ভিন্নতা এসেছে। তারাই এখন যুদ্ধের বিরোধিতা করছেন। জুলাইয়ে যুদ্ধের পক্ষে থাকা ৫৭ শতাংশের হার এখন নেমে এসেছে ২৫ শতাংশে। ওই সময়ে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির পক্ষে ছিলেন ৩২ শতাংশ লোক, যা এখন ৫৫ শতাংশ মানুষের চাওয়া।

moscow protests anti warমস্কোর বিক্ষোভ থেকে একজনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে রুশ পুলিশ

যুদ্ধ কিংবা পুতিনের সমর্থনে এমন ভাটার টানের ব্যাপারে এক সমাজতত্ত্ববিদ বলেন, ইউক্রেনে চলা সেই যুদ্ধ বুমেরাং হয়ে রাশিয়ানদের ঘরে ঢুকে পড়েছে। সামর্থ্যবান ছেলেদের যুদ্ধে যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিশ্বের প্রায় বড় বড় সংস্থাগুলো রাশিয়া থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞার জেরে মূল্যস্ফীতি, জিনিসপত্রের সরবরাহে ঘাটতি, বিভিন্ন দেশে যাতায়াতে সমস্যা ইত্যাদি বিষয়গুলো তো আছেই।

সমাজবিজ্ঞানী গ্রিগোরি ইউডিনের উদ্ধৃতি দিয়ে স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরিস্থিতি যেদিকে চলছে, তাতে আগামী দিনে আবারও রাজপথে বিক্ষোভ আছড়ে পড়তে পারে। আমার মনে হয়, তার জন্য আমাদের খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না।

অবশ্য এরই মধ্যে কয়েকবার মস্কোসহ রাশিয়ার বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। পুতিনের সরকার সেই বিক্ষোভকে কড়া হাতে দমিয়ে দিয়েছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.