যুক্তরাষ্ট্র: ইরানকে ‘নজিরবিহীন’ সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্ক সম্প্রতি নতুন স্তরে পৌঁছে গেছে। ফলে দুই দেশ এখন পরস্পরকে নজিরবিহীনভাবে পরস্পরকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। গতকাল শুক্রবার ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি একটি ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। খবর আনাদোলু।

হোয়াইট হাউস

কিরবি বলেন, নতুন এই সম্পর্কের কারণে ইরানকে অভূতপূর্ব সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া, অন্যদিকে ইরানও তাদের মারাত্মক সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলার ব্যাপারে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বিষয়গুলো দেশ দুটির দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত করছে।

মার্কিন এই নিরাপত্তা কর্মকর্তার মতে, রাশিয়া-ইরানের এই অংশীদারিত্ব শুধু ইউক্রেনের জন্যই নয়, বরং এই অঞ্চলে ইরানের প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা মধ্যপ্রাচ্য ও সারা বিশ্বের অংশীদারদের সাথে এই তথ্য শেয়ার করেছি।

রাশিয়া-ইরান সম্পর্ক নতুন স্তরে পৌঁছেছে

হোয়াইট হাউস জানায়, নতুন সম্পর্কের কারণে রাশিয়া এই বসন্ত থেকে তার সু-৩৫ যুদ্ধবিমানে ইরানি পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এতে মনে করা হচ্ছে, ইরান আগামী বছরের মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিমান পেতে যাচ্ছে। যদি তা-ই হয়, তাহলে এ যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের বিমান বাহিনীকে তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করে তুলবে।

রাশিয়া তেহরানকে নানা ধরনের উন্নত সামরিক উপাদান প্রদান করার পরিকল্পনা করছে জানিয়ে কিরবি বলেন, ক্রেমলিন এরইমধ্যে ইরানকে হেলিকপ্টার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করছে। তবে কেবল রাশিয়াই যে ইরানকে সামরিক সহায়তা করছে বিষয়টি এমন নয়। কারণ, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করতে ইরান তাদের ড্রোন সরবরাহ করছে।

কিয়েভ দাবি করছে, রাশিয়া ইরানের এসব ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে। একই সাথে ইরান মস্কোর কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রিরও পরিকল্পনা করছে। এরই মধ্যে তা বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে এবং কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করাও হয়েছে।

কিরবি বলেন, আমরা এমন সম্ভাবনাও দেখতে পেয়েছি, যাতে মস্কো ও তেহরান যৌথভাবে রাশিয়ায় ড্রোন কারখানা স্থাপনের কথা বিবেচনা করছে। এ ধরনের পদক্ষেপ না নিতে আমরা ইরানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।