ব্লিঙ্কেনের চীন সফর শিগগির

নতুন বছরের শুরুতে চীন সফর করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তার সফরের প্রস্তুতি পাকাপোক্ত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে জো বাইডেনের সাম্প্রতিক আলোচনার মধ্যেও ব্লিঙ্কেনের সফরের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়। তারা দুদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন ও একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতার মনোভাব থেকে সরে আসার ব্যাপারে ইতিবাচক আলোচনা করেন।

হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শনিবার জানান, চীন স্বল্পমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায়, কারণ দেশটি অভ্যন্তরীণভাবে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন এবং দেশটি কূটনীতিতে এশিয়ামুখী হওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষযক সহকারী সেক্রেটারি অব স্টেট ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিস্ক এবং চীন-তাইওয়ানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর লরা রোজেনবার্গার ১১-১৪ ডিসেম্বর চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সফর করবেন।

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সর্বশেষ জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে তাইওয়ান ও উত্তর কোরিয়া নিয়ে আলোচনা করেন জো বাইডেন ও শি জিনপিং। তাদের বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল, মার্কিন-চীন টানাপোড়েনের সম্পর্ক যাতে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের দিকে না যায়। দুই নেতা তাদের আলোচনায় মানবাধিকার, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং অর্থনৈতিক ইস্যুতে মতপার্থক্য দূর করার জন্য যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সফরের মাধ্যমে বিঙ্কেনের সফরের ভিত্তি প্রস্তুত করা হচ্ছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো আরও ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চাই আমরা। ব্লিঙ্কেনের সফর যেন সফল হয়, সেই প্রত্যাশা রয়েছে আমাদের।

হোয়াইট হাউসের এশিয়া-প্যাসিফিক সমন্বয়কারী ক্যার্ট ক্যাম্পবেল বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, চীন সব দেশের সাথেই কমবেশি সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। সেই জায়গা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও তারা সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। ক্যাম্পবেল গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।