ইউএন উইমেন থেকে বাদ পড়ছে ইরান

ইরানে চলমান বিক্ষোভে বিশ্বব্যাপী দেশটি নেতিবাচক পদক্ষেপের শিকার হচ্ছে। নারী ও মেয়েদের অধিকারের পরিপন্থী নীতির জন্য ইরানকে জাতিসংঘের মহিলা সংস্থা 'কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেন (সিএসডব্লিউ)' বা ইউএন উইমেন থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। এনিয়ে বুধবার ইউএন ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলে (ইকোসোক) ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে। রয়টার্সের খবর।

ইউএন ইউমেন থেকে বাদ পড়ছে ইরান

ইকোসোক সদস্য দেশের সংখ্যা ৫৪। সংস্থাটির সাবসিয়ারি সংস্থা সিএসডব্লিউ বা ইউএন উইমেন। ২০২২-২০২৬ মেয়াদের বাকী সময়ের জন্য ইউএন উইমেন থেকে ইরানের সদস্যপদ বাতিলে ভোট হবে। প্রস্তাবনায় তারা ইরানকে ইউএন উইমেন থেকে অপসারণ করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছে। ইউএন উইমেনের সদস্য ৪৫টি দেশ। এর মধ্যে ইরানও রয়েছে। ইরানকে যাতে সংস্থাটি থেকে বাদ দেওয়া যায় সেজন্য ইকোসোক ওই ভোটের আয়োজন করেছে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইরানকে অপসারণে ক্রমবর্ধমান সমর্থন তিনি দেখতে পাচ্ছেন।

এদিকে ইরানকে যাতে বহিষ্কার করা না হয়, সেজন্য ফিলিস্তিনসহ ১৭টি দেশ গত সোমবার ইকোসোকের কাছে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, এই ভোটাভোটি নিঃসন্দেহে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত নজির তৈরি করবে, যা শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্কৃতি, রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যসহ অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ক্ষুব্ধ করতে পারে।

চিঠিতে সদস্যদেরকে মার্কিন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার যে কোনও সংস্থা থেকে সার্বভৌম এবং ন্যায্যভাবে নির্বাচিত দেশগুলোকে বহিষ্কারের প্রবণতা এড়াতে হবে। কারণ পরিস্থিতিগত সংখ্যাগরিষ্ঠতা এই জাতীয় কৌশল আরোপ করার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে মাত্র পাঁচজন বর্তমানে ইকোসোকের সদস্য। তাদেরও ভোটে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে।

গত সোমবার ইরান জনসমক্ষে একজন ব্যক্তিকে ফাঁসি দিয়েছে। প্রথম মৃত্যুদণ্ডের এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের কুর্দি তরুণী মাহশা আমিনি পুলিশ হেফাজতে নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভ তেহরান থেকে পুরো ইরানে ছড়িয়ে পড়ে।

জেনেভা-ভিত্তিক জাতিসংঘের অধিকার কাউন্সিল গত মাসে ইরানের বিক্ষোভের মারাত্মক দমনের জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত চেয়েছে। আন্দোলনকারীদের পক্ষে প্রস্তাবটি পাসও হয়েছে। তেহরানের অভিযোগ, পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো অধিকার কাউন্সিলকে ব্যবহার করে একটি 'ভয়াবহ ও লজ্জাজনক' পদক্ষেপ নিয়েছে।