প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন: দেশে গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়?

আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? দেশে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আর কে সংরক্ষিত করতে পেরেছে? সেটাই আমি প্রশ্ন করি।

গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সন্ধ্যায় সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন।

একটি মহল লোভ ও ব্যক্তিস্বার্থে দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ধ্বংস করতে চায় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? নাকি যারা এ কথা বলেন, তাদের জরুরি অবস্থার সরকার হলে ভালো লাগে! সামরিক শাসক এলে তাদের কদর বাড়ে! এজন্যই খোশামোদি-তোষামোদি করেন তারা। ওইটুকু পাওয়ার লোভে?

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে’ তৎপর দেশের কিছু বুদ্ধিজীবীর সমালোচনা করে আরও বলেন, দেশে কিছু মানুষ আছেন, যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী ও জ্ঞানী-গুণী বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তাদের মুখেও শুনি- দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে! সামরিক স্বৈরশাসকদের সময় যারা মার্শাল ল দিয়ে দেশ চালিয়েছিল, তারা সেটাকেই কী গণতন্ত্র বলতে চান? ওটাই কি তাদের কাছে গণতান্ত্রিক ধারা ছিল?

শেখ হাসিনা বলেন, তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা সব সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের সরকার এবং দেশে জরুরি অবস্থাকে পছন্দ করেন। কেননা সেই সময় তাদের কদর বেড়ে যায়, তারা কিছুটা অগ্রাধিকার পান । আর সেজন্যই দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই তারা ধ্বংস করতে চান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, জনগণের শক্তিটাই সবচেয়ে বড় শক্তি। তাদের বিশ্বাস ও আস্থাটাই সবচেয়ে বড় শক্তি।

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল আর মার্শাল ল’ জারির মধ্যদিয়ে, তারাই এখন গণতন্ত্রের ছবক দেয়, পরামর্শ দেয়। তারা নাকি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে! যারা মার্শাল ল দিয়ে, সারারাত কারফিউ দিয়ে রাষ্ট্র চালিয়েছে, তারা কীভাবে দেশবাসীকে গণতন্ত্র দিতে পারে? তারা কিসের গণতন্ত্র দেয়- সেটা আমি বুঝি না।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে গণভবনে দলের জাতীয় কমিটির বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সারাদেশ থেকে ক্ষমতাসীন দলের জাতীয় কমিটির সদস্যরা যোগ দেন।

শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পর জাতীয় কমিটির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি সংক্রান্ত আলোচনা হয়।