নরওয়ের বৃহত্তম হৃদে মিলল মধ্যযুগীয় জাহাজ

নরওয়ের বৃহত্তম হৃদের তলদেশে মধ্যযুগীয় একটি জাহাজের প্রায় অক্ষত কাঠামোর সন্ধান মিলেছে। একটি গবেষণা কার্যত্রক্রম পরিচালনার সময় জাহাজটির অস্তিত্ব মেলে। তাদের ধারনা, জাহাজটি ১৩০০ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যকার সময়ের হবে এবং এটি ডুবে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক কেএসএল নিউজ এই খবর দিয়েছে।

নরওয়ের বৃহত্তম হৃদে মিলল মধ্যযুগীয় জাহাজ

হৃদটির নাম মজোসা, আয়তন ১৪০ বর্গমাইল। গবেষকরা ‘মিশন মজোসা’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছিলেন। প্রকল্পের আওতায় নির্দিষ্ট এলাকায় হৃদের তলদেশে উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ম্যাপিং কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন তারা। এ সময় হঠাৎ হৃদের তলদেশে জাহাজের অবকাঠামোর আকৃতি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। গবেষকরা বলছেন, মজোসা লেকে জাহাজ চলাচলের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে, তা জাহাজটির আবিষ্কারে আরও স্পষ্ট হয়েছে।

নরওয়েজিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ এস্টাব্লিশমেন্টের সদস্যরা হৃদের এমন একটি স্টান পরিদর্শন করছিলেন, যেখানে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ডাম্প করা হয়েছিল বলে ধারনা করা হয়। ডাম্প করা যুদ্ধাস্ত্রগুলো পানিতে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করেছে কিনা তা পরীক্ষা করছিলেন তারা।

নরওয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুসারে, হৃদটি নরওয়ের প্রায় ১ লাখ মানুষের খাবার পানির উৎস। এ কারণে পানি পরীক্ষা কার্যক্রম চলছিল।
নরওয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সামুদ্রিক প্রত্নতত্ত্বের একজন সিনিয়র গবেষক এবং মিশন প্রধান ওইভিন্ড ওডেগার্ড বলেন, আমরা ভাবছিলাম ডাম্প করা অস্ত্রশস্ত্রের ম্যাপিং করার সময় হয়তো কোনো জাহাজের অবকাঠামোর অস্তিত্ব মিলতে পারে। ঠিক তাই ঘটেছে।

জাহাজের ধ্বংসাবশেষটি প্রায় ১৩৫০ ফুট গভীরতায় হৃদের মাঝ বরাবর রয়েছে। জাহাটি ৩৩ ফুট লম্বা। লেকে তরঙ্গ না থাকায় মূল কাঠামো প্রায় অবিকৃত অবস্থায় রয়ে গেছে। লোহার পেরেকগুলোর ক্ষয় ছাড়া জাহাজটির তেমন কিছু হয়নি। হৃদের তলদেশে জাহাজটির অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে জাহাজটি বিছানায় বিশ্রাম নিচ্ছে। চারপাশের পানি একেবারে স্থির।