উত্তেজনার মধ্যেই চীন সীমান্তে শক্তি বাড়াল ভারত

ভারত-চীন বিতর্কিত সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা কমছে না। দুদেশ নানা ভাবে পরস্পরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে। সর্বশেষ ভারত জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে সামরিক শক্তি বাড়ানো হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিতর্কিত সীমান্তে নতুন করে যত সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে, স্মরণকালের ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। বিবিসির খবর।

এস জয়শঙ্কর

এস জয়শঙ্কর বলেন, সীমান্ত একতরফাভাবে চীনের হাতে আমরা ছেড়ে দেবো না। চীনা সেনারা জোরপূর্বক ভূমি দখলের পর দুপক্ষ গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তের পরিস্থিতি সাধারণত স্থিতিশীল রয়েছে এবং উভয়পক্ষ শান্তি বজায় রাখতে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

অরুণাচলে ভারত-চীন বিতর্কিত সীমান্তটির দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার। তবে দুদেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে ‌'অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল লাইন' সীমানা নিয়ে। এই পয়েন্টে উভয়পক্ষ মুখোমুখি হয় এবং দুপক্ষই আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। এ কারণে সময় সময় তারা সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ভারত-চীন বিতর্কিত সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা কমছে না

জয়শঙ্কর গত সোমবার ইন্ডিয়া টুডের একটি অনুষ্ঠানে সীমান্তের ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, ‘চীনা প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্তে আরও ভারতীয় সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, এত বেশি সেনা আগে কখনো ছিল না। ভারতীয় সেনাবাহিনী একতরফাভাবে চীনা আধিপত্যের যেকোনো প্রচেষ্টা রুখে দিতে প্রস্তুত।’

তবে ভারতের নতুন পদক্ষেপে চীন এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। গত সপ্তাহে সর্বশেষ সংঘর্ষের ফলে ভারতে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেয়। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে অবিলম্বে আলোচনার দাবি সরকার প্রত্যাখ্যান করার পরে বিরোধী দল সংসদ থেকে ওয়াক আউট করে।

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, চীনা সেনারা ভারতীয় সেনাদের মারধর করছে, আমাদের অসম্মান করছে, অথচ সরকার কিছুই করছে না।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। সীমান্তে ভারতীয় সেনারা মার খাচ্ছে।