তথ্যমন্ত্রী: জানাজার সময় হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি খুলে দিলে ভালো হতো

প্যারোলে মুক্তি নিয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আলী আজম। তবে এ সময় তার হাতে হাতকড়া ও পায়ে ডান্ডাবেড়ি পড়ানো ছিল। জানাজা পড়া অবস্থায়ও তার শরীর থেকে ওইসব খুলে দেয়নি পুলিশ। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন, জানাজার সময় তার হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি খুলে দিলে ভালো হতো।

মায়ের জানাজার নামাজ পড়াচ্ছেন বিএনপি নেতা আলী আজম (বামে), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ (ডানে)

২১ ডিসেম্বর, বুধবার সচিবালয়ে সম্মেলন কক্ষে ওই ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

এ সময় তিনি বলেন, বিষয়টা আমি চেক করে দেখেছি। গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। হাতকড়া বা ডান্ডাবেড়ি পরানো না পরানো জেল প্রশাসনের কাজ, সেটি পুলিশের কাজ নয়।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে কয়েকজন জঙ্গি পালিয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে যেভাবে সতর্কতা দরকার ছিল, সেভাবে নেওয়া হয়নি, তাই তারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এজন্য গাজীপুরে জেল প্রশাসন অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছে। তবে আমি মনে করি, জানাজার সময় তার ডান্ডাবেড়ি এবং হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।

গত রোববার আলী আজমের মা সাহেরা বেগম মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। মায়ের জানাজায় অংশ নিতে সোমবার বিকেলে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। ২০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকালে তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পান আলী আযম। গাজীপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি পাবুরিয়াচালা এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টায় বাড়ির পাশে জানাজাস্থলে উপস্থিত হন আলী আজম। বেলা ১১টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নিজেই তার মায়ের জানাজা পড়িয়েছেন। মায়ের দাফন শেষে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় আলী আজমকে। পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী সাইয়েদুল আলম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদসহ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আলী আজমের ভাই আতাউর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে ভাইকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। জানাজা পড়ানোর সময় তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ খুলে দেয়নি।

গত ২৯ নভেম্বর কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা হয়। মামলায় ২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় আলী আজমকে। এ মামলায় আলী আজমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ১৫০ জনকে।