তাইওয়ানকে বড় দিনের উপহার, ক্ষুব্ধ চীন

তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরকম একটি প্রতিরক্ষা বিলে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি এটিকে বড়দিনের উপহার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। চীনের হুমকি মোকাবেলায় তাইওয়ানকে রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। রেডিও ফ্রি এশিয়া।

যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনতে ২ বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে তাইওয়ান

যুক্তরাষ্ট্রের ওই পদক্ষেপের নিন্দা ও বিরোধিতা করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ঠাণ্ডাযুদ্ধ উসকে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড থামানোর আহ্বান জানিয়ে চীন বলেছে, চীন নিজ সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থ দৃঢ়ভাবে রক্ষা করতে যথাসময়েই সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করবে না।

হোয়াইট হাউসের খবরে বলা হচ্ছে, জো বাইডেন গতকাল শুক্রবার ২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় প্রতিরক্ষা অথরাইজেশন অ্যক্টের (এনডিএএ) আওতায় প্রতিরক্ষা বিভাগে ৮১৬.৭ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন।

‘এইচআর ৭৭৭৬’ নামের এই আইনটি প্রধানত ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স প্রোগ্রাম এবং মিলিটারি কনস্ট্রাকশনের জন্য। এর আওতায় রয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিসি, মেরিটাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ড এবং গোয়েন্দা সংস্থা। একইদিনে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদেও আইনটি পাস হয়েছে।

এনডিএএ-এর অধীনে তাইওয়ানকে ২ বিলিয়ন ডলার প্রদানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে তাইওয়ান মার্কিন অস্ত্র-সরঞ্জাম কিনতে পারবে। ১২ বছরের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে তাইওয়ানকে। তাইপে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সর্বাত্মক সহযোগিতা ভুলবার নয়। এর মাধ্যমে দুপক্ষের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুসংহত হলো।

এক বিবৃতিতে তাইওয়ান জানিয়েছে, তাইপে সামগ্রিক জাতীয় নীতি অনুসারে মার্কিন কংগ্রেস ও নির্বাহী শাখার সাথে যোগাযোগ ও আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবে। তাইপে ধীরে ধীরে ওয়াশিংটনের সাথে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। তবে তাইওয়ানের একজন বিশ্লেষক বলেছেন, এর মানে এই নয় যে, তাইওয়ান যা চাইবে তা পাবে।

তামকাং ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক লিন ইং বলেন, তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্র কী দেবে, কী দেবে না তা দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরই সিদ্ধান্ত নেবে।