তুষারঝড়ে নিহত ৩৪, তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি

তীব্র তুষারঝড় ও ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির তাপমাত্রা কোথাও কোথাও মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। এ পর্যন্ত দেশটির ৯ রাজ্যে কমপক্ষে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসি।

তুষারঝড়ে ঢাকা পড়ে আছে বাড়িঘর, রাস্তা

খবরে বলা হয়েছে, এই তুষারঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ ইয়র্কের বাফেলো শহর। তুষারঝড়ে বিধ্বস্ত এই শহরেই মারা গেছেন ৭ জন। পুরো নিউ ইয়র্কে মারা গেছে মোট ১২ জন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। নিউ ইয়র্কের অনেক শহরে বিদ্যুৎ সংযোগসহ জরুরি পরিষেবাগুলো বন্ধ রয়েছে।

এবারের তুষারঝড়কে বাফেলোর ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ও ভয়াবহ বলে অভিহিত করেন নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের জানান, বাফেলোতে আট ফুট (২.৪ মিটার) তুষারপাত হয়েছে। ফলে অনেক এলাকাতেই বিদ্যুৎবিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় বাফেলোর বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের না হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তুষারঝড়ে ঢাকা পড়া কয়েকটি গাড়ি

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাফেলোতে তুষারঝড়ের সময় গাড়ির ভেতরে আটকা পড়ে মারা গেছেন কয়েকজন। অন্যদিকে তুষারে ঢাকা রাস্তা থেকে মৃত অবস্থায় কয়েকজনকে পাওয়া গেছে। বাফেলো ছাড়াও ভেরমন্ট, ওহাইও, মিসৌরি, উইসকনসিন, কানসাস ও কলোরাডোতে ঠান্ডা ও ঝড়ে মানুষ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল রোববার ছিল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস ডে বা বড় দিন। কিন্তু তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য দিনটিই শুরু হয়েছে অন্যরকমভাবে। লাখ লাখ লোক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থাতে দিন শুরু করেন। তুষারঝড়ের কারণে গত কয়েকদিনে সাত হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং ১২ হাজারের বেশি ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।

রেকর্ড তুষারপাতের কারণে অনেক রাজ্যের মানুষ ঘরে বসেই দিনটি পার করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। খারাপ আবহাওয়া এবং ফ্লাইট স্থগিতের কারণে আগে থেকে করা ভ্রমণ পরিকল্পনা বাতিল করেছেন অনেকে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়েছে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মন্টানাতে। সেখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে নেমে গেছে।