রাশিয়া: প্রস্তাব মেনে নিন, নয়তো সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেবে

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, চলমান সংঘাত এড়ানোর জন্য রাশিয়া ইউক্রেনের কাছে যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, নিজেদের ভালোর জন্য কিয়েভ সেগুলো পূরণ করতে পারে। অন্যথায় এসব বিষয়ে রাশিয়ান সেনারাই সিদ্ধান্ত নেবে। খবর তাস নিউজ এজেন্সি।

সের্গেই লাভরভ

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ল্যাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও জানায়, আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম ইউক্রেনে রাশিয়ার অধিকৃত যেসব অঞ্চল রয়েছে সেগুলোতে কিয়েভ সরকারের নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে এবং সেখানে রাশিয়া যেসব বিষয়কে নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে সেগুলো দূর করতে হবে। আমরা অনেক আগে থেকেই এসব প্রস্তাব দিয়ে আসছি।

ল্যাভরভ তাসকে বলেন, সংঘাত কতদিন স্থায়ী হবে তা এখন কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের হাতে। বিষয়টি এখন খুবই সোজা। আপনারা আপনাদের ভালোর জন্যই আমাদের প্রস্তাবে সাড়া দিন। নইলে এ ব্যাপারে রাশিয়ান সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেবে।

রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে

তবে কিয়েভ শান্তির বিনিময়ে রাশিয়ার কাছে কোনো ভূমি হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং প্রকাশ্যে রাশিয়াকে সমস্ত অঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কো যে কোনো আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা সমর্থকরাই এতে আগ্রহী নয়।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে শুরু করে। বিষয়টিকে মস্কো কিয়েভকে অসামরিকীকরণ ও অত্যাচার বন্ধের জন্য বাধ্য করার জন্য বিশেষ সামরিক অভিযান নামে অভিহিত করে। অন্যদিকে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা এটিকে ভূমি দখলের জন্য একটি সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন হিসেবে চিহ্নিত করে।

গত সেপ্টেম্বরে মস্কো এক ঘোষণায় জানায়, গণভোটের মাধ্যমে তারা এটি ইউক্রেনের চারটি প্রদেশ- দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসনকে রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত করেছে। এ গণভোটের এই সিদ্ধান্ত বা ফলাফল মেনে নেয়নি কিয়েভ ও তার মিত্ররা।

২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ সংঘাত এখন ১১তম মাসে প্রবেশ করেছে। এ সংঘাতে উভয় পক্ষে হাজার হাজার সামরিক ও বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই সংঘাতের জেরে পুরো বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত সে লড়াই থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।