যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গতিশীল সম্পর্ক চান চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন কিন গ্যাং। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চীনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। গত শুক্রবার তাকে নিয়োগের পর ওয়াশিংটন ত্যাগ করার আগে রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সাথে কথা বলেছেন কিন গ্যাং। দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের অগ্রগতি চান বলে জানিয়েছেন তিনি।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং

ফোনে কথোপকথনের মাধ্যমে বিদায় জানান ব্লিঙ্কেন এবং তাদের মধ্যে আগের গঠনমূলক বৈঠকের কথা স্মরণ করেন। অপরদিকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ব্লিঙ্কেনের সাথে আরও কাজ করতে চান এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতি করতে চান। গতকাল সোমবার চীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।

গত শুক্রবার ১৩তম ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিন গ্যাংকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিশন অফিসের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন।

কিন গ্যাং ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে ব্লিঙ্কেনের সাথে ফোনে কথা বলেন। তিনি টুইট করেন, আমি চীন-মার্কিন সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য উন্মুখ। ফোনে তিনি ব্লিঙ্কেনের সাথে ইউএস-পিআরসি সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছেন। দুপক্ষের মধ্যে ভাল ও কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপনে সবকিছু করতে চান তিনি।

চীন-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২২ সাল চীন-মার্কিন সম্পর্কে উত্থান-পতন দেখা গেছে। দুদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে, যাতে কোনোরকম ভুল বোঝাবুঝি কিংবা ভুল ধারনার সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে দুদেশই সজাগ। এই সতর্কতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্ব রাজনীতিতে দেশ দুটি ভিন্ন ইমেজ তৈরি করতে পেরেছে।

রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক দিয়াও ডেমিং বলেন, নতুন বছরে চীন-মার্কিন সম্পর্কের মধ্যে অস্থিরতা কমতে পারেন। দুদেশের শীর্ষ নেতারা আরও কাছাকাছি হতে পারেন। উভয় দেশ সুসম্পর্কের বিকাশ চায়। তারা চাইবে না দুদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাক। সেক্ষেত্রে সর্বক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়ানোর প্রচেষ্টা থাকবে বেইজিং-ওয়াশিংটনের।

২০২২ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অনলাইনে তিনবার ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হন। তাছাড়া গত নভেম্বরে বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দুজন বৈঠক করেন। এতে দুদেশের সুসম্পর্ক নিয়ে ভবিষ্যৎ চিত্র কিছুটা হলেও স্পষ্ট হয়েছে। তারা একে অপরের নীতিতে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক, তা মনে হয়েছে।