রিজার্ভ: সৌদি-চীনের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান

রিজার্ভ জোরদারে সৌদি আরব ও চীনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার এ কথা জানিয়েছেন। রাজস্ব আয় বাড়াতে পাকিস্তান সরকার সামর্থ্যবান নাগরিকদের ওপর ‘বন্যা শুল্ক’ এবং ব্যাংকগুলোর ওপর ‘মুনাফা কর’ আরোপ করবে বলেও তিনি জানান। খবর ডন।

ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ আয়ের ওপর সিগনিফিকেন্ট গেইন ট্যাক্স আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার

ইসলামাবাদে পাকিস্তান সরকারের আরও পাঁচ মন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসহাক দার বলেছেন, চলতি মাস শেষের আগেই রিজার্ভের ক্ষেত্রে সুখবর আসছে। সৌদি আরব ও চীন জানুয়ারি মাস শেষ হবার বেশ আগেই আমাদের রিজার্ভ মজুত চাঙ্গা করবে। জুন মাসের শেষ নাগাদ পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ আপনারা (সাংবাদিক) যা ভাবছেন, তার চেয়ে যথেষ্ট ভালো হবে। চীন, সৌদি আরবও তাদের সমর্থন বৃদ্ধি করবে।

তিনি বলেন, আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে যে প্রক্রিয়া শুরু করেছি, তা যে কোনো উপায়ে সম্পন্ন করা হবে। সরকার-সরকার বিনিয়োগ প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হবে। সরকারের চলতি হিসাব ঘাটতি পূর্ববর্তী প্রাক্কলনের চেয়ে ৩ বিলিয়ন ডলার কম হবে।

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার

তিনি আরও বলেন, রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে। বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেটা কাটিয়ে উঠতে সামর্থ্যবান নাগরিকদের সম্পদের ওপর ‘বন্যা শুল্ক’ আরোপ করা হবে। একইভাবে, ব্যাংকগুলোর ফরেন এক্সচেঞ্জ আয়ের ওপর ‘সিগনিফিকেন্ট গেইন ট্যাক্স’ আরোপ করা হবে। অনেক দেশই ফরেন এক্সচেঞ্জ আয়ে করারোপ করেছে।

বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধে পাকিস্তান ব্যর্থ হবে ও খেলাপি হবে এমন আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দল পিটিআইর মানুষেরা এসব কথা ছড়াচ্ছে। বেছে বেছে নিজেদের মনমতো উপাত্ত নিয়ে তারা শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। এগুলো ডাহা মিথ্যা।

ইসহাক দার বলেন, ডিসেম্বর নাগাদ ২৭০-২৯০ বিলিয়ন রুপি সুপার ট্যাক্স আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আমরা নির্ধারণ করেছিলাম, যা আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে পূরণ হয়নি। এজন্য রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আমরা বন্যা শুল্ক ও সিগনিফিকেন্ট গেইন ট্যাক্সের মাধ্যমে সেটা কাটিয়ে উঠব। ব্যাংক খাত বিপূল ফরেন এক্সচেঞ্জ মুনাফা করেছে। আমরা সেখান থেকে রাজস্ব আহরণ করব। সাধারণ জনগণের ওপর চাপ দিব না।