আপনি পড়ছেন

রাম মন্দিরের জায়গাকে ঘৃণার জমিন বলে অভিহিত করলেন ভারতের প্রবীণ রাজনীতিক জগদানন্দ সিং। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) বিহার সভাপতি জগদানন্দ সিং পাটনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন। তার এ মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি। সংবাদ সংস্থা এএনআইর বরাতে এ খবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

jagdanand singh
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) বিহার শাখা প্রধান জগদানন্দ সিং

বিহারে ক্ষমতাসীন আরজেডির রাজ্য শাখার প্রধান জগদানন্দ সিং বলেছেন, ঘৃণার জমিনে রাম মন্দির নির্মিত হচ্ছে। বিশালকায় অট্টালিকায় রামকে আটকে রাখা যায় না। আমরা ‘হে রাম’ জপে বিশ্বাস করি, ‘জয় শ্রীরাম’ (বিজেপির স্লোগান) বিশ্বাস করি না।

রাম মন্দিরকে ইস্যু করে বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে আক্রমণ করে জগদানন্দ সিং বলেন, রামকে তারা পাথরে বন্দি করতে চলেছে। এখন থেকে তিনি আর মানবজাতির নন, রাম এখন উন্মাদদের হাতে পড়তে যাচ্ছেন। গরিবের কুটিরে নয়, তুলসীদাসের বর্ণিত রাম নয়, অযোধ্যার রাম নয়, তাকে আর ভারতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভারতে কেবল একজন রামকেই খুঁজে পাওয়া যাবে, যিনি পাথরে বন্দি থাকবেন।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সাবেক সভাপতি অমিত শাহ বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি নাগাদ রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। তার ওই বক্তব্যের পর রাম মন্দির ইস্যুটি আবার সামনে এসেছে।

ত্রিপুরায় অমিত শাহর বক্তব্যের খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মাথায় পাটনায় আরজেডি কার্যালয়ে বিহার সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন জগদানন্দ সিং। এ সময় রাম মন্দির সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে ওইসব কথা বলেন জগদানন্দ সিং।

বিরোধী দলের নেতারা বলছেন, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন হবে। চলতি ২০২৩ সালে বেশ কয়েকটি রাজ্য সভার নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনের বছর উপলক্ষে বিজেপি আবার সাম্প্রদায়িক চাঙ্গা করতে রাম মন্দির ইস্যুটি সামনে নিয়ে আসছে। শুরু থেকেই বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম বড় পুঁজি ছিল রাম মন্দির। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চেয়েছে দলটি। এবার তারা নির্মাণ কাজ শেষের কথা বলে ভোট চাইতে চলেছে।

জগদানন্দ সিংয়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনেওয়ালা এক টুইটে লিখেছেন, এখন তিনি রাম মন্দিরকে চার দেওয়ালের খাঁচা, উন্মাদ দাঙ্গাবাজদের ইস্যু বলছেন। এর আগে পিএফআইর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর তিনি হিন্দুদের টার্গেট করে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন। হুসাইন দলওয়াই থেকে জগদানন্দ সিং ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছেন। হিন্দু বিশ্বাসের অবমাননা করাই কি আরজেডি-কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতা?

এর আগে জুলাই মাসে ভারত সরকার মুসলিম সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (পিএফআই) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং সংগঠনটির সম্পদ জব্দ করে। সে সময় জগদানন্দ সিং বলেছিলেন, তাদের (মুসলিম) সংগঠন পিএফআই আরএসএসের মতো। তারাও (পিএফআই) নিজেদের সম্প্রদায়ের কল্যাণে কাজ করতে চায়। তাহলে তাদেরকে (পিএফআই) রাষ্ট্রবিরোধী বলা হচ্ছে কেন?

তিনি আরও বলেন, যখনই নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কোনো বিপজ্জনক পাকিস্তানি এজেন্ট আটক হয়েছে, প্রতিবারই দেখা গেছে তারা আরএসএস সংশ্লিষ্ট ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক। এরপরও মুসলিম সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রবিরোধী বলে টার্গেট করা হচ্ছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.