নোয়াকচোটকে মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা

মৌরিতানিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর নোয়াকচোটকে ২০২৩ সালের জন্য মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী নির্বাচন করা হয়েছে। ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সাইন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসিইএসসিও) সম্প্রতি এ ঘোষণা দেয়। খবর আনাদোলু।

নোয়াকচোট শহর

এ উপলক্ষে গত শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সেখানে আইসিইএসসিওর আয়োজনে এক বিশেষ সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, ক্যালিগ্রাফিসহ তালিকাভুক্ত ইসলামী ঐতিহ্য প্রদর্শিত হয়। মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ওয়ালাদ আল শেখ আল গাজওয়ানিসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে মৌরিতানিয়ার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ ওয়ালাদ আসবিদাত বলেন, নোয়াকচোট শহরকে ২০২৩ সালের জন্য ইসলামী বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণার মাধ্যমে মৌরিতানিয়ার সংস্কৃতি ও ইসলামের সুস্পষ্ট চিত্র উপস্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। কারণ দীর্ঘকাল ধরে জ্ঞান প্রসারে দেশটির চিংগুয়েটি, টিচিট, লাতাহ ও আদানসহ বিভিন্ন শহরের ঐতিহাসিক ভূমিকা আছে।

নোয়াকচোটে আইসিইএসসিওর সম্মেলন

মুহাম্মদ ওয়ালাদ আসবিদাত আরও বলেন, এখানকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গ্রন্থাগারে অসংখ্য দুর্লভ পাণ্ডুলিপির ভাণ্ডার রয়েছে, যা এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির প্রতীক এবং এখানকার নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত। আমরা আশা করছি, নোয়াকচোটকে ইসলামী বিশ্বের সংস্কৃতির রাজধানী ঘোষণার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে মৌরিতানিয়ার সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও যৌথ বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি হবে।

অনুষ্ঠানে আইসিইএসসিওর মহাপরিচালক সালেম বিন মুহাম্মাদ আল-মালিক বলেন, সার্বিকভাবে কবিতা, সাহিত্য ও আইনশাস্ত্রে মৌরিতানিয়ার ব্যাপক ঐতিহ্য ও গৌরব আছে। এ কারণে ২০২৩ সালের জন্য দেশটির রাজধানী নোয়াকচোট শহরকে মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক শহর হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

মূলত মুসলিম বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলো সংরক্ষণ ও মূল্যায়ন করতেই আইসিইএসসিও প্রতিবছর সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে ঘোষিত স্থানে বছরজুড়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে সংস্থার পক্ষ থেকে নানা ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়।