দুর্নীতির অভিযোগে ইরাকে গভর্নর বরখাস্ত

ইরাকে দিওয়ানিয়ার গভর্নর জুহাইর আলী আল শালানকে বরখাস্ত করেছেন দেশটি প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল সুদানী। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত কার্যক্রম চলমান ছিলো বলে জানিয়েছে ইরাকি সংবাদ সংস্থা। মিডল ইস্ট মনিটর।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল সুদানি

প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, প্রশাসনিক ও আর্থিক দুর্নীতির সন্দেহে জুহাইরের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান ছিলো। আদালতে পর্যালোচনায় দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে নিশ্চিত করা হয়েছে। জুহাইর এখনও সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্তব্য করেননি। তবে চূড়ান্ত রায়ে তার সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

ইরাকি পেনাল কোডের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা এজেন্ট ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রীয় তহবিল তছরুপ বা দেশের স্বার্থের ক্ষতি করলে সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। স্থানীয় কর্মী নওরেস শিবানি রোববার টুইটারে অভিযোগ করেছেন, জুহাইর আল শালানের প্রশাসনে অব্যবস্থাপনা দানা বেঁধেছে। তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে তিনি খারাপ গভর্নর হিসেবে প্রমাণ করেছেন। ক্ষমতায় থাকাকালে তার অর্জন সামান্য।

২০২২ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর সুদানী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দুর্নীতির ফলে দেশটি বিলিয়ন ডলার সংকটের মুখে রয়েছে। এতে দেশটির অর্থীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত বছরের শেষের দিকে ফেডারেল ট্যাক্স কর্তৃপক্ষ থেকে কমপক্ষে ২.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়েছিল। সমালোচকরা এই চুরিকে ‘শতাব্দির সেরা চুরি’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।

ইরাকের সংসদীয় স্বচ্ছতা কমিশন অনুমান করে, ২০০৩ সালে মার্কিন সেনাবাহিনী ইরাকে আক্রমণ করার পর থেকে ৩২০ বিলিয়ন ডলার সরকারি তহবিল অদৃশ্য হয়ে গেছে। তাছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকায় দেশটির সব সেক্টরে দুর্নীতি জেঁকে বসেছে। সরকারি কর্মকর্তারা আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।