'ইসরায়েলে প্রতি চার পরিবারের ১টি দারিদ্র্যসীমার নিচে'

ইসরায়েলে ক্রমবর্ধমান হারে দারিদ্র বাড়ছে। বিশেষ করে করোনা মহামারির পর দেশটিতে দারিদ্র্যসীমায় বসবাসকারী লোকজনের সংখ্যা খুব দ্রুত বেড়ে যায়। বর্তমানে দেশটির এক-চতুর্থাংশ লোক দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। গত বুধবার ইসরায়েলের ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ইনস্টিটিউট (এনআইআই) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। খবর মিডলইস্টআই।

ইসরায়েলে দারিদ্র্য বাড়ছে

প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারি ঠেকাতে ইসরায়েলে দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন আরোপ করা হয়েছিল। তার ধাক্কায় ২০২০ সাল থেকেই ইসরায়েলি নাগরিকরা মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার চাপ অনুভব করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে দেশটিতে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২৫ শতাংশে পৌঁছে যায়। এর ফলে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ইসরায়েল কোস্টারিকার পর দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ হয়ে ওঠে।

ইসরায়েলের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থা এনআইআইয়ের মতে, ২০২১ সালে প্রতি চারটি ইসরায়েলি পরিবারের মধ্যে একটি অতিরিক্ত মাসিক খরচ মেটাতে লড়াই করেছে। এ সময় ১০ দশমিক ছয় শতাংশ ইসরায়েলি পরিবার চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারেনি এবং প্রায় ৭ শতাংশ মানুষ প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারেনি।

ইসরায়েলি শিশুরাও পড়ছে দারিদ্র্যের কবলে

এনআইআইয়ের হিসেব মতে একক ব্যক্তি হিসেবে ৮৩০ ডলার এবং দুই-চারটি সন্তানসহ পরিবারের ক্ষেত্রে দুই হাজার ৫৬০ ডলারের নিচে আয়কারীদের দারিদ্র্যসীমার নিচে হিসেবে ধরা হয়। এ হিসেবে ২০২১ সালে ২০ লাখ ইসরায়েলি দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করত, যার মধ্যে আট লাখ ৫৩ হাজার শিশু এবং দুই লাখ ১৩ হাজার বৃদ্ধ অন্তর্ভুক্ত ছিল। অন্য হিসেবে ইসরায়েলি পুরুষদের মধ্যে ৩০ দশমিক ছয় শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ২৭ দশমিক চার শতাংশ নারী দরিদ্র ছিল।

এনআইআইয়ের মহাপরিচালক ইয়ারোনা শালোম বলেন, ইসরায়েল বছরের পর বছর ধরে দারিদ্র্য ও অসমতার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত বুধবার জীবনযাত্রার খরচ কমিয়ে আনতে পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রিয় পেনশন পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা বৃদ্ধদের সংখ্যা হ্রাস পাবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে।