রাশিয়া: পশ্চিমা ট্যাঙ্ক যুদ্ধক্ষেত্রে পুড়ে যাবে

ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমাদের সরবরাহ করার ট্যাঙ্ক যুদ্ধক্ষেত্রে পুড়ে যাবে। এই ট্যাঙ্ক যুদ্ধের ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আনবে না। সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ

পেসকভ বলেন, ইউরোপের কয়েকটি দেশ কিয়েভে ট্যাঙ্ক সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই উন্নত অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এগুলো যুদ্ধে পুড়ে যাবে। রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানের লক্ষ্য অর্জন করেই মস্কো থামবে।

ইউক্রেনে চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাঙ্ক পাঠানোর বিষয়ে ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, পেসকভ জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ সংকট দীর্ঘায়িত এবং ইউক্রেনের জন্য আরও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, আমরা পশ্চিমের এসব সিদ্ধান্ত খুব নেতিবাচকভাবে মূল্যায়ন ও উপলব্ধি করি। আমরা আমাদের মনোভাব গোপন রাখি না। ব্রিটেন, পোল্যান্ডসহ কিছু ইউরোপীয় দেশ যারা এখন নতুন অস্ত্র সরবরাহের চিন্তা করছে, তারা মূলত যুদ্ধের নতুন রাউন্ড শুরু করতে চায়। তাদের অভিপ্রায় পরিষ্কার। তবে উন্নত সামরিক সরঞ্জাম কিয়েভের পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে অক্ষম। তাদের এটি উপলব্ধি করা উচিত।

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস-এর খবরে বলা হচ্ছে, মস্কো সন্দেহ করে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে বসবাসকারী লোকদের ভাগ্য বা তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে চিন্তা করে কিনা। তারা কেবল রুশ-বিরোধী লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইউক্রেনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

গত রোববার ব্রিটেন ঘোষণা করে, ইউক্রেনে ১৪টি চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাঙ্ক তারা পাঠাবে। গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে আরও ৩ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে। এই প্যাকেজের মধ্যে থাকবে ট্র্যাক করা পদাতিক যোদ্ধা যান ব্রাডলি এবং স্ব-চালিত হাউইটজার।

এর আগে জার্মানি বলেছিল, তারা কিয়েভকে মার্ডার পদাতিক ফাইটিং গাড়ির একটি ব্যাচ সরবরাহ করতে চায়। তাছাড়া ইউক্রেনে এএমএস-১০ আরসি ট্যাংক পাঠাতে যাচ্ছে ফ্রান্স।